আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আ’লীগ কাতার শাখার সহ-সভাপতি, চাঁদপুর- ৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সিআইপি জালাল আহমেদ। তাঁর প্রচার-প্রচারনায় সাড়া ফেলছেন সহধর্মিণী মায়মুনা জালাল।
রাজনৈতিক কর্মকান্ডে পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও তার সাবলীল প্রচার-প্রচারনা, দক্ষতা ও বক্তব্যে তৃনমুল মানুষের মাঝে আলোড়ন তুলেছেন।
এ উপজেলার বধু হওয়ায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সাধারন মানুষের কাছে সহজেই মিশতে পারছেন তিনি। সাধারন মানুষও তাকে আপন করে নিচ্ছেন। যেখানে প্রচারনায় যাচ্ছেন, সেখানেই সাধারন নারী-পুরুষরা জড়ো হচ্ছেন। সাবলীল বাচন ভঙ্গিতে সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছেন সাধারন মানুষ। প্রার্থী হিসেবে তার স্বামী জালাল আহমেদ যতটা সাধারন মানুষের কাছে গিয়েছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি যাচ্ছেন মায়মুনা জালাল।
ফরিদগঞ্জ উপজেলাটি ১৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ইতিমধ্যে মায়মুনা জালাল নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পাড়া মহল্লা, হাট-বাজারে সরকারের উন্নয়ন ও তার স্বামী জালাল আহমেদের ব্যক্তিগত উন্নয়ন সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন। এছাড়া উঠান বৈঠক, নেতা-কর্মী ও সাধারন ভোটারদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। সাধারন মানুষের মুখে এমন প্রচারনাও রয়েছে, স্বামীর দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রী মায়মুনা জালালের ভূমিকা অনেক বেশি কাজে আসবে।
মায়মুনা জালাল বলেন, আমার স্বামী একজন সাদা মনের মানুষ। গত ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে ফরিদগঞ্জের মানুষের কল্যানে কাজ যাচ্ছেন। তার এ মহৎ মানুষিকতাকে উৎসাহ দিতেই আমি তার নির্বাচনী মাঠে নেমেছি।
গৃহিনী থেকে রাজনৈতিক মাঠে কেমন সাড়া পেয়েছেন জানতে চাইলে, মায়মুনা জালাল বলছেন “অবশ্যই ভালো লাগছে। সবাই আসছে, সবাই আমাকে গ্রহন করেছে”। স্বামী জালাল আহমেদ ফরিদগঞ্জের শতভাগ উন্নয়ন করবেন। এ জন্য সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন মায়মুনা জালাল।
জালাল আহমেদ এমপি নির্বাচিত হলে সে সব সময় জনগনের পাশে থাকবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন স্ত্রী মায়মুনা জালাল।
আমি বঙ্গমাতাকে দেখিনি, তবে ইতিহাস থেকে উনার সম্পর্কে জেনেছি উল্লেখ তিনি আরও বলেন, মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর এবং বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের সহযোদ্ধা। স্বাধীনতার পর বঙ্গমাতা যেমনি ভাবে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করছেন, ঠিক তেমনিভাবে তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমার স্বামী জালাল আহমেদের পাশে থেকে অবহেলিত এবং ফরিদগঞ্জের অসহায় মানুষের কল্যানে কাজ করতে চাই।