ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুর চিকিৎসায় পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের ১ লাখ টাকা অনুদান

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : চাঁদপুরে অসহায় এক পরিবারের শিশুর হাটের হৃদপিন্ড ফুটার চিকৎসার জন্য নিজ তহবিল থেকে ১লাখ টাকা সহায়তা কররেন পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। মেয়র জিল্লুর রহমানের এ মানবিক সহায়তা ও উদারতায় শিশু ইয়ামিন গাজী(৬) অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে পৃথিবীর আলো দেখার স্বপ্ন দেখছে।

Model Hospital

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল তার পৌরসভার কাযার্লয়ে জন্ম থেকে হৃদপিন্ড ফুটা শিশু ইয়ামিনের পিতা মো: আলমগীর হোসেন গাজীর হাতে নগদ ১ লাখ টাকা সহায়তা হিসেবে তুলে দেন। এ সময় চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আলী মাঝিসহ সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে শিশু ইয়ামিন গাজী ঢাকা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের (কার্ডিওলজী ) বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডা: সোমায়রা নাসরিনের তত্তাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসক বলেছে শিশুটির চিকিৎসায়( অপারেশন) করাতে  ৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

মেয়রের এ ধরনের মানবিক উদারতায় সকলের কাছে তিনি প্রশংসার দাবীদার হয়েছেন। অনেকে বলেছেন,এ সমাজে কে বর্তমানে কার জন্য করে। তবুওতো মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বড় ধরনের এক উদারতা দেখালেন।

শিশু ইয়ামিন পৌর শহরের পুরানবাজার ২নং-ওয়ার্ডের ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী আলমগীর গাজী ও মাতা:- শাহনাজ বেগমের সন্তান। সে জন্ম লগ্ন থেকে দীর্ঘ ৬টি বছর হার্টের ছিদ্রের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্টভোগ করে যাচ্ছে।

তার গরীব পিতা আলমগীর গাজী জানান, আমার ছেলে জন্মের পর থেকে হাটের হৃদপিন্ড ফুটার কারনে সে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী যা’অর্থছিল তাদিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তার পরও তাকে সুস্থ করতে পারিনি।

ঢাকা পপুলার হাসপাতাল ও হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎক আব্দুর রাজ্জাকের পরামর্শে চিকিৎসা চালিয়ে যাই। চিকিৎসক জানিয়েছে,তার হৃদপিন্ড ফুটার অপারেশন করতে কয়েক লাখ টাকা লাগবে। তাই সমাজের অনেক বৃত্তবানের কাছে গিয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা চেয়েছি। কেহ সহায়তায় এগিয়ে আসেনি।

শিশু ইয়ামিনের পিতা আলমগীর গাজী জানান, বর্তমানে ঢাকা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ( শিশু কার্ডিওলজী ) বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডা: সোমায়রা নাসরিন তার ছেলের হার্ট ছিদ্রের চিকিৎসা করতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেছেন,আগামী ২২ডিসেম্বর শিশু ইয়ামিনকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য। শিশুর চিকিৎসায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হবে।

২২ডিসেম্বর ভর্তি করলে সকল পরিক্ষা নিরিক্ষার পর তাকে ২৬ ডিসেম্বর হাটের হার্ট ছিদ্রের চিকিৎসার জন্য অপারেশন করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ,পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট

শিশুর চিকিৎসায় পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের ১ লাখ টাকা অনুদান

আপডেট সময় : ১২:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : চাঁদপুরে অসহায় এক পরিবারের শিশুর হাটের হৃদপিন্ড ফুটার চিকৎসার জন্য নিজ তহবিল থেকে ১লাখ টাকা সহায়তা কররেন পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। মেয়র জিল্লুর রহমানের এ মানবিক সহায়তা ও উদারতায় শিশু ইয়ামিন গাজী(৬) অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে পৃথিবীর আলো দেখার স্বপ্ন দেখছে।

Model Hospital

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল তার পৌরসভার কাযার্লয়ে জন্ম থেকে হৃদপিন্ড ফুটা শিশু ইয়ামিনের পিতা মো: আলমগীর হোসেন গাজীর হাতে নগদ ১ লাখ টাকা সহায়তা হিসেবে তুলে দেন। এ সময় চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আলী মাঝিসহ সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে শিশু ইয়ামিন গাজী ঢাকা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের (কার্ডিওলজী ) বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডা: সোমায়রা নাসরিনের তত্তাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসক বলেছে শিশুটির চিকিৎসায়( অপারেশন) করাতে  ৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

মেয়রের এ ধরনের মানবিক উদারতায় সকলের কাছে তিনি প্রশংসার দাবীদার হয়েছেন। অনেকে বলেছেন,এ সমাজে কে বর্তমানে কার জন্য করে। তবুওতো মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বড় ধরনের এক উদারতা দেখালেন।

শিশু ইয়ামিন পৌর শহরের পুরানবাজার ২নং-ওয়ার্ডের ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী আলমগীর গাজী ও মাতা:- শাহনাজ বেগমের সন্তান। সে জন্ম লগ্ন থেকে দীর্ঘ ৬টি বছর হার্টের ছিদ্রের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্টভোগ করে যাচ্ছে।

তার গরীব পিতা আলমগীর গাজী জানান, আমার ছেলে জন্মের পর থেকে হাটের হৃদপিন্ড ফুটার কারনে সে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী যা’অর্থছিল তাদিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তার পরও তাকে সুস্থ করতে পারিনি।

ঢাকা পপুলার হাসপাতাল ও হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎক আব্দুর রাজ্জাকের পরামর্শে চিকিৎসা চালিয়ে যাই। চিকিৎসক জানিয়েছে,তার হৃদপিন্ড ফুটার অপারেশন করতে কয়েক লাখ টাকা লাগবে। তাই সমাজের অনেক বৃত্তবানের কাছে গিয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা চেয়েছি। কেহ সহায়তায় এগিয়ে আসেনি।

শিশু ইয়ামিনের পিতা আলমগীর গাজী জানান, বর্তমানে ঢাকা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ( শিশু কার্ডিওলজী ) বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডা: সোমায়রা নাসরিন তার ছেলের হার্ট ছিদ্রের চিকিৎসা করতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেছেন,আগামী ২২ডিসেম্বর শিশু ইয়ামিনকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য। শিশুর চিকিৎসায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হবে।

২২ডিসেম্বর ভর্তি করলে সকল পরিক্ষা নিরিক্ষার পর তাকে ২৬ ডিসেম্বর হাটের হার্ট ছিদ্রের চিকিৎসার জন্য অপারেশন করা হবে।