ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তিতে মসজিদ কমিটির খামখেয়ালীপনায় হরহামেশাই ঘটছে দূর্ঘটনা

চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলাধীন সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের লোটরা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঘাটলা এক অভিশপ্ত অজুর জায়গা। ঘাটলাটি নির্মাণের সময় থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ ঘাটলার শেষে নিচে নেমে যখনি সিড়ি আছে মনে করে “পা” দেয় সাথে সাথেই পানিতে পড়ে হাবুডুবু খেয়ে মোবাইল সহ মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে ভিজে যায়।
অনেক মুসাফির ও অপরিচিত ব্যক্তি নামাজের নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করে অজুর জন্য গেলেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে তাদের সাথে। বিষয়টি জেনেও না জানার ভান করে থাকেন মসজিদ কমিটির বর্তমান সদস্যরা।
প্রতিদিন ২/৩ জন করে এ ঘাটলায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শনিবার বিকেলে আসরের নামাজ পড়তে মসজিদের প্রবেশ মুহূর্তে এক রিক্সা চালক না জেনে ঘাটলার শেষ ধাপে নামতে গিয়েই পড়েন বিপাকে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে পুকুরের পানিতে ভিজে নামাজও পড়তে পারে নি। এভাবে প্রতিদিন কেউ না কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছেন।
মসজিদের নিয়মিত মুসল্লী ও বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ৩ বছর পূর্বে সরকারী অনুদানের প্রায় ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে ঘাটলাটি নির্মাণ করেন তৎকালীন চেয়্যারম্যান সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুর রশিদ। তবে ঘাটলাটি আদৌ ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকে। ঘাটলাটির নির্মাণের সময় সিড়ির ধাপগুলো নিচের দিকে আর নামায় নি। তার জন্য পুকুরে পানি থাকা অবস্থায় অনেক মুসল্লি অজু করতে নামলে সিঁড়ির ধাপ শেষ হলেও বুঝতে না পারার দরুন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পানিতে পড়ে যায়।
লোটরা বাজার জামে মসজিদের সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, আমরা কমিটির পক্ষ থেকে সিঁড়ির শেষ ধাপে লাল কাপড় বেঁধে দিলেও অনেক অপরিচিত মুসল্লী বিষয়টি বুঝতে না পেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পানিতে পড়ে যায়। সত্যিই বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা শীঘ্রই ঘাটলার পাশে অজুখানা নির্মাণ করবো। তাতে সৃষ্ট সমস্যা কিছুটা হলেও নিরসন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ট্যাগস :

শাহরাস্তিতে পিকআপ ভ্যান ও সিএনজি স্কুটারের সংঘর্ষে ২জন নিহত

শাহরাস্তিতে মসজিদ কমিটির খামখেয়ালীপনায় হরহামেশাই ঘটছে দূর্ঘটনা

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলাধীন সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের লোটরা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঘাটলা এক অভিশপ্ত অজুর জায়গা। ঘাটলাটি নির্মাণের সময় থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ ঘাটলার শেষে নিচে নেমে যখনি সিড়ি আছে মনে করে “পা” দেয় সাথে সাথেই পানিতে পড়ে হাবুডুবু খেয়ে মোবাইল সহ মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে ভিজে যায়।
অনেক মুসাফির ও অপরিচিত ব্যক্তি নামাজের নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করে অজুর জন্য গেলেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে তাদের সাথে। বিষয়টি জেনেও না জানার ভান করে থাকেন মসজিদ কমিটির বর্তমান সদস্যরা।
প্রতিদিন ২/৩ জন করে এ ঘাটলায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শনিবার বিকেলে আসরের নামাজ পড়তে মসজিদের প্রবেশ মুহূর্তে এক রিক্সা চালক না জেনে ঘাটলার শেষ ধাপে নামতে গিয়েই পড়েন বিপাকে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে পুকুরের পানিতে ভিজে নামাজও পড়তে পারে নি। এভাবে প্রতিদিন কেউ না কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছেন।
মসজিদের নিয়মিত মুসল্লী ও বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ৩ বছর পূর্বে সরকারী অনুদানের প্রায় ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে ঘাটলাটি নির্মাণ করেন তৎকালীন চেয়্যারম্যান সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুর রশিদ। তবে ঘাটলাটি আদৌ ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকে। ঘাটলাটির নির্মাণের সময় সিড়ির ধাপগুলো নিচের দিকে আর নামায় নি। তার জন্য পুকুরে পানি থাকা অবস্থায় অনেক মুসল্লি অজু করতে নামলে সিঁড়ির ধাপ শেষ হলেও বুঝতে না পারার দরুন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পানিতে পড়ে যায়।
লোটরা বাজার জামে মসজিদের সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, আমরা কমিটির পক্ষ থেকে সিঁড়ির শেষ ধাপে লাল কাপড় বেঁধে দিলেও অনেক অপরিচিত মুসল্লী বিষয়টি বুঝতে না পেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পানিতে পড়ে যায়। সত্যিই বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা শীঘ্রই ঘাটলার পাশে অজুখানা নির্মাণ করবো। তাতে সৃষ্ট সমস্যা কিছুটা হলেও নিরসন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।