ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র গরমে ভোগান্তি পোহাচ্ছে চাঁদপুরের শ্রমজীবী মানুষ

  • সজীব খান
  • আপডেট সময় : ০২:৫২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
  • 158

সম্প্রতি দেশের তপ্ত গরমে সারাদেশের মত চাঁদপুরের নিম্ন আয়ের মানুষকে চরম ভোগান্তী পড়তে হচ্ছে।

Model Hospital

এ গরমে অতিষ্ঠ নিম্ন আয়ের বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে গ্রামঞ্চলের মাঠের শ্রমীক, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ফেরিওয়ালাদের ভোগান্তি বেড়েছে বেশিগুন, তারা জীবন বাঁচাতে এ তপ্ত গরমে শ্রম দিয়ে জীবিকার জন্য টাকা উপার্যন করতে দেখা যাচ্ছে।

প্রকৃতির উপর যদিও কারো কোন হাত নেই, প্রকৃতি চলে প্রকৃতির নিয়মে, আল্লাহ যেমন চাচ্ছে তেমনি চলতে।

আবহাওয়া বার্তায় নেই সুখবর। তাপদাহ চলছে তো চলছেই। কখনো ৩৫-৩৭ আবার কখনো সেই তাপমাত্রা পৌঁছে যাচ্ছে ৩৮-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। প্রচন্ড গরমে কারো যাচ্ছে ঠোঁট শুকিয়ে আবার কারো হাত-মুখে জ্বলে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে।

রমজান মাসে চলা এ তাপদাহের কারণে চাঁদপুরে কয়েকগুণ বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শ্রমজীবি মানুষকে।
দেশে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত আবহাওয়া তেমন পরিবর্তন না হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছে সাধারণ মানুষ। চলমান তাপদাহে বাতাসে আদ্রতা কমে গেছে। বাতাসে আগের তুলনায় জলীয়বাষ্প কমে যাওয়ায় এ গরমে মানুষের হাত-মুখ শীতের মতো শুকিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার চাঁদপুরর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, প্রচন্ড গরমে অল্প কাজ বা হাঁটাচলা করে হাঁপিয়ে উঠছেন অনেকে মানুষ। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে সুযোগ পেলেই ছায়ায় গিয়ে জিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, তীব্র এ তাপদাহে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শ্রমজীবি মানুষগুলো অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছেন তারা। কিন্তু উপায় না থাকায় পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়া মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন দ্রুত।

কথা হয় চাঁদপুর শহরের এক রিকশাচালকের সঙ্গে, তিনি বলেন কাজ না করলে খামু কী, কিছু না কিছু তো করতে হবে। ছেলে মেয়ে রয়েছে, তাদের লেখা পড়া এবং সংসারের খরচতো লাগবে, যত গরম পড়ুকনা কেন কাজ করতে হবে।

এবার ঈদের আগে থেকেই প্রচন্ড গরম। গরমে খুব কষ্ট হয়। ঘেমে যাই, ক্ষুধা লাগে, পিপাসা লাগে। এক টানা অনেকক্ষণ প্যাডেল মারা যায় না, আধা ঘণ্টা পরপর বিশ্রাম নেই। সকাল থেকে ১৫০ টাকার খাবার খেয়ে ফেলেছি। গরমে পরিশ্রম করা কঠিন।

শ্রমীক বাদশা মিয়া বলেন, সারা রাত ঘুমানো যায় না গরমের ঠেলায়। আর দিনে মাঠে কাজ করতে হয় রোদের তাপে পুড়ে। কী আর করার, পেটের জ্বলায় এ কষ্ট করতে হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে তাপে পুড়ে মাঠে পাটের খেতে কাজ করতে হচ্ছে।

দুপুরের দিকে মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে। কবে একটু বৃষ্টি হবে আল্লাহ জানে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে সালাতুল ইস্তেসকার নামাজ আদায়

তীব্র গরমে ভোগান্তি পোহাচ্ছে চাঁদপুরের শ্রমজীবী মানুষ

আপডেট সময় : ০২:৫২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

সম্প্রতি দেশের তপ্ত গরমে সারাদেশের মত চাঁদপুরের নিম্ন আয়ের মানুষকে চরম ভোগান্তী পড়তে হচ্ছে।

Model Hospital

এ গরমে অতিষ্ঠ নিম্ন আয়ের বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে গ্রামঞ্চলের মাঠের শ্রমীক, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ফেরিওয়ালাদের ভোগান্তি বেড়েছে বেশিগুন, তারা জীবন বাঁচাতে এ তপ্ত গরমে শ্রম দিয়ে জীবিকার জন্য টাকা উপার্যন করতে দেখা যাচ্ছে।

প্রকৃতির উপর যদিও কারো কোন হাত নেই, প্রকৃতি চলে প্রকৃতির নিয়মে, আল্লাহ যেমন চাচ্ছে তেমনি চলতে।

আবহাওয়া বার্তায় নেই সুখবর। তাপদাহ চলছে তো চলছেই। কখনো ৩৫-৩৭ আবার কখনো সেই তাপমাত্রা পৌঁছে যাচ্ছে ৩৮-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। প্রচন্ড গরমে কারো যাচ্ছে ঠোঁট শুকিয়ে আবার কারো হাত-মুখে জ্বলে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে।

রমজান মাসে চলা এ তাপদাহের কারণে চাঁদপুরে কয়েকগুণ বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শ্রমজীবি মানুষকে।
দেশে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত আবহাওয়া তেমন পরিবর্তন না হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছে সাধারণ মানুষ। চলমান তাপদাহে বাতাসে আদ্রতা কমে গেছে। বাতাসে আগের তুলনায় জলীয়বাষ্প কমে যাওয়ায় এ গরমে মানুষের হাত-মুখ শীতের মতো শুকিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার চাঁদপুরর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, প্রচন্ড গরমে অল্প কাজ বা হাঁটাচলা করে হাঁপিয়ে উঠছেন অনেকে মানুষ। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে সুযোগ পেলেই ছায়ায় গিয়ে জিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, তীব্র এ তাপদাহে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শ্রমজীবি মানুষগুলো অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছেন তারা। কিন্তু উপায় না থাকায় পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়া মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন দ্রুত।

কথা হয় চাঁদপুর শহরের এক রিকশাচালকের সঙ্গে, তিনি বলেন কাজ না করলে খামু কী, কিছু না কিছু তো করতে হবে। ছেলে মেয়ে রয়েছে, তাদের লেখা পড়া এবং সংসারের খরচতো লাগবে, যত গরম পড়ুকনা কেন কাজ করতে হবে।

এবার ঈদের আগে থেকেই প্রচন্ড গরম। গরমে খুব কষ্ট হয়। ঘেমে যাই, ক্ষুধা লাগে, পিপাসা লাগে। এক টানা অনেকক্ষণ প্যাডেল মারা যায় না, আধা ঘণ্টা পরপর বিশ্রাম নেই। সকাল থেকে ১৫০ টাকার খাবার খেয়ে ফেলেছি। গরমে পরিশ্রম করা কঠিন।

শ্রমীক বাদশা মিয়া বলেন, সারা রাত ঘুমানো যায় না গরমের ঠেলায়। আর দিনে মাঠে কাজ করতে হয় রোদের তাপে পুড়ে। কী আর করার, পেটের জ্বলায় এ কষ্ট করতে হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে তাপে পুড়ে মাঠে পাটের খেতে কাজ করতে হচ্ছে।

দুপুরের দিকে মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে। কবে একটু বৃষ্টি হবে আল্লাহ জানে।