ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে ক্রেতাদের তেমন ভিড় নেই। গত বছরের তুলনায় এবছর ক্রেতা উপস্থিতি ও বেচাকেনা অনেকটা ঢিলেঢালা। একই অবস্থা ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। তবে ব্যবসায়ীদের আশা, ২০ রমজানের পর থেকে জমজমাট হয়ে উঠবে বাজার। ওই সময় পুরোদমে বোরো ফসলের ধান কাটা শুরু হবে। ধান বিক্রি করে কেনাকাটা করবেন মানুষজন। ঈদ বাজার এখনো জমে না উঠায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হতাশ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছেংগারচর বাজারের বিভিন্ন মার্কেট সহ আশপাশের ফুটপাত ঘুরে তেমন ক্রেতা উপস্থিতি দেখা যায়নি।
এশিয়ান ফ্যাশনের বিক্রেতা মিন্টু বলেন, এবার ঈদের বেচাকেনা অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। এখনও ঈদ মার্কেট জমেনি। অথচ গত বছরও ঈদুল ফিতরের আগে রমজানের শুরু থেকেই ভালো বেচাকেনা ছিল।
একই কথা বলেন মধ্যবাজারের মদিনা মার্কেটের পোশাক বিক্রেতা শেখ সাদী। তিনি বলেন, গত বছরের ঈদুল ফিতরের ঈদ মার্কেটের তুলনায় এই বছর বেচাকেনা কম। বোরো ফসল কাটা শুরু হয়নি, মানুষের হাতে টাকা নেই। চৈত্র মাসে এমনিতেই অভাব। তবে ২১/২২ রমজানের পর কাপড় চোপড় কিনতে আসবেন ক্রেতারা- এমনটা আশা করছি।
শহরের সৌদিয়া প্লাজা, দর্জি মার্কেট, নাহার প্লাজা’সহ অন্যান্য কাপড়ের দোকানে বসে অলস সময় কাটছে বিক্রেতাদের। মার্কেটের সামনে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের একই অবস্থা। ভূইয়া মার্কেটের সেতু ফ্যাশনের বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, এই বছর কাপড়ের প্রতিটা পিসের দাম ৫০-১০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। গত বছর যে ড্রেসের দাম ছিল ৮০০ টাকা, এই বছর একই ড্রেস ৯০০ টাকা করে কিনতে হয়েছে।
নতুন ডিজাইনের ড্রেস মার্কেটে আসছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুনের মধ্যে নাইরা ড্রেস, আবেয়া ড্রেস মার্কেটে এসেছে। তবে বেচাকেনা কম।
মরাদোন গ্রামের মহিলা হালিমা এসেছেন কাপড় কিনতে। তিনি বলেন, কাপড়ের দাম বেশি। কিতা করমু, ঋণপিন কইরা আমার পাঁচ ছেলে-মেয়ে জন্য কাপড় কিনেছি।
রুহিতারপাড় গ্রামের বাসিন্দা নাছির উদ্দিন বলেন, আমার চার ছেলে মেয়ে। আজকে ছোট্ট মেয়েটার জন্য গজের কাপড় কিনেছি। টাকা পয়সা কম। আস্তে আস্তে একজন, দুই জনের কাপড় কিনে ঈদটা করতে হবে। একসাথে কাপড় কিনা সম্ভব নায়।