কাজী নজরুলের গবেষণা মূলক উক্তি দিয়ে শুরু করছি,‘তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন’ “কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী, পূরুষের তরবারি; প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়-লক্ষী নারী” অবশ্য এদেশের নারীরা এক সময় সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিলেন। ছিলেন সুবিধা বঞ্চিত। সেসব নারীদের সমাজে অধিষ্ঠিত বা মানুষের মত মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন অনেক মহীয়সী নারী। তারা আমাদের কাছে শ্রেষ্ঠ নারীর প্রতিরূপ হয়ে আছেন। যেমন বেগম রোকেয়া, যিনি নারী জাগরণের পথিকৃত। বেগম সুফিয়া কামাল, যিনি শুধু বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মহিলা কবিই নন, নারী আন্দোলন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বেগম সুফিয়া কামাল, যিনি শুধু বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মহিলা কবিই নন, নারীদের স্বপ্ন পুরণের প্রেরণা ছিলেন। ইলা মিত্র, তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী, যিনি আদিবাসীসহ সকল মানুষের কাছে ‘রানী মা’ নামে পরিচিত ছিলেন।
এ ছাড়া অসংখ্য নারী রয়েছেন, যাদের অনুপ্রেরণায় হাজার-হাজার নারী-পুরুষ তাদের জীবনকে অনুকরণ করে অধিকার আদায়ে সৎ ও আদর্শে অটল থেকেছেন। আমার দেখা একটি ক্ষুদ্র পরিসরে, বিরুদ্ধ পরিবেশে এদের মতই একজন নারী, তিনি হচ্ছেন, “সততা ও আদর্শের অনুপ্রেরণায় উজ্জল মডেল কলেজ’র ফাতেমা ম্যাম”।
মানুষের সততা ও আদর্শকে অনুকরণ করতে গিয়ে অনেক মানুষের সান্নিধ্য লাভ করেছি এবং তাঁদের কাছা-কাছি থাকতে গিয়ে অনেক কিছুই শিখেছি। যার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি শিক্ষা, সততা ও আদর্শের অনুপ্রেরণা পেয়েছি, তিনি হলেন, হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা আক্তার। এ সৎ ও আদর্শ দ্যোতিক নক্ষত্রের বৈভিক ঐশ^র্যে আমার হৃদয়-মন সততার অনুপ্রেরণায় আলোকিত হয়েছে। আমি মাঝে মাঝে বিস্মিত, আবেগ আপ্লুত, এবং বিমুগ্ধ হই, সত্যের পক্ষে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের অবিনাশী চেতনা দেখে! সত্যি আমি গর্বিত এ কলেজের একজন সাবেক ছাত্র হয়ে।
আমার প্রিয় একজন শিক্ষককে নিয়ে প্রবন্ধ লিখতে বসে যে কথাটি বার বার আমার মনে ছায়া বিস্তার করে, সেটি হচ্ছে এ নারী যদি বড় পরিসরে নিজের মেধা-মননকে কাজে লাগাতে পারতেন, তাহলে তাঁর সৎ, আদর্শ, সংগ্রামী ও সোনালি জীবনের জন্য ইনি ও ইতিহাসের পাতায় একজন মহীয়সী নারী হিসাবে স্থান করে নিতেন।
ব্যক্তি কেন্দ্রিক আমার এ প্রবন্ধ লেখা পড়ে হয়ত অনেকে অবাক হবেন, অবাক হওয়াটাই আমি স্বাভাবিক মনে করি, কারণ আমাদের প্রায় মানুষেরই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অন্যের প্রশংসা শুনলে গাত্রদাহ শুরু হয়। শুধু তাই নয় খুব কাছের মানুষকেও দেখিছি নিজের প্রশংসা শুনতেই অভ্যস্ত, অন্যের প্রশংসায় বিরক্তি আর ঘৃণা প্রকাশ করে। তবে এসব বেড়া-জাল চিহ্ন করে মহৎ প্রাণ বড় মনের মানুষজন বড় মানের জায়গায় ঠিকই প্রশংসা পায়। শুধু একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়। অনেকেই ভালো লিখতে পারে তবে লাভ এবং লোভহীন লেখাইবা কয়জনে লিখতে পারে সে বিচারের ভার পাঠকের।
লেখক হুমায়ূন আজাদ বলেছেন, “নিন্দুকেরা পুরোপুরি অসৎ হ’তে পারেন না, কিছুটা সততা তাদের পেশার জন্যে অপরিহার্য; কিন্তু প্রশংসাকারীদের পেশার জন্য মিথ্যাচারই যথেষ্ট। যতোদিন মানুষ অসৎ থাকে, ততোদিন তার কোনো শত্রু থাকে না; কিন্তু যেই সে সৎ হয়ে উঠে, তার শত্রুর অভাব থাকে না। আমাদের সমাজ যাকে কোনো মূল্য দেয় না, প্রকাশ্যে তার অকুণ্ঠ প্রশংসা করে, আর যাকে মূল্য দেয় প্রকাশ্যে তার নিন্দা করে, বাঙালি আজ পর্যন্ত আত্মজীবনী লেখে নি, কেননা আত্মজীবনী লেখার জন্যে দরকার সততা।”
কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ সত্যিই বলেছেন,“যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক। কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।” তিনি আরো বলেছেন,“অপেক্ষা হলো শুদ্ধতম ভালোবাসার একটি চিহ্ন। সবাই ভালোবাসি বলতে পারে। কিন্তু সবাই অপেক্ষা করে সেই ভালোবাসা প্রমাণ করতে পারে না।”
স্কুল থেকে উত্তীর্ণ হবার পর আমি যখন মডে কলেজে ভর্তি হলাম তখন আমার মনে ভয় ছিল এ কলেজের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে। একাদশ শ্রেণিতে বিভিন্ন শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের স্নেহের সান্নিধ্যে এই ভয় অনেকটাই দূর হয়ে গিয়েছিল। তখনো আমার ফাতেমা ম্যাম এর সাথে পরিচয় হয়নি। ম্যামকে আমরা প্রথমবার চিনলাম ক্লাস শুরুর ৩য় সপ্তাহ পর পৌরনীতি ক্লাসে। একে একে তিনি আমাদের সকলকে নিজেদের নাম, জীবনে কি হতে চাই এবং স্কুলের নাম জিজ্ঞাসা করলেন। তাহার হাসিখুশি স্বভাব এবং আমাদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ প্রথম দিনই প্রায় সকলের মন জয় করে নিলেন।
ফাতেমা ম্যাম কেন আমার প্রিয় বলতে গেলে তার নির্দিষ্ট কোনো একটি কারণ নেই। প্রথম দিন থেকে আমাদের সকলের সাথে তার মিশুকে আচরণের কারণে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে নিজেদের খুব কাছের মনে করতে থাকলো। দ্বিতীয়তঃ আমার পৌরনীতি বিষয়টি না থাকা সত্বেও ম্যাম পৌরনীতির বিভিন্ন অধ্যায় যা রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাঠামোর সাথে সম্পর্কিত ও একজন সচেতন নাগরিকের জানা আবশ্যক সেসব পড়ানোর সময় আমাদের কে ক্লাসে রেখে দিতেন। যেটি আমাদের মধ্যে অনেককেই তখন বিরক্ত করতো যে আমার এ কøাস নেই তবুও কেন থাকবো। পরে অবশ্য সবাই বিষয়টি বুঝে গিয়েছিল এবং নিজ ইচ্ছেতেই ম্যামের ক্লসে থেকে যেতেন। ম্যাম এর পড়া বোঝানোর পর আলাদা করে বইয়ের কঠিন ভাষা পড়বার খুব বেশী প্রয়োজন হয় না। কোন ছাত্র যদি পৌরনীতির কোন স্পেসিফিক র্টাম বুঝতে অসুবিধা বোধ করে, তাহলে তাকে তিনি কলেজ ছুটির পর আলাদা সময়ে বিষয়টি পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিতেন। তাছাড়া ৪৫ মিনিটের একটি ক্লাসে পড়ানোর পাশাপাশি তিনি আমাদেরকে নানান ধরনের সৃজনমূলক খেলাধুলা এবং সহ পাঠ্য বিষয়ক কার্যক্রমের জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। এছাড়া জীবনের কোন প্রকার ছোটখাট সমস্যা নিয়ে তাহার কাছে হাজির হলেও ম্যাম আমাদেরকে বিভিন্ন উপদেশ দিতেন।
আমি ফাতেমা ম্যামের স্নেহের পরশে এসে একটি বিষয় বুঝতে পেরেছি, সেটি হচ্ছে মডেল কলেজে পড়াকালীন সময়ে আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্র্থীদের মাঝে বিদ্যায়নিক আদর্শ শূন্যতার এ ব্যাপারটি তাঁকে খুব কষ্ট দিতো। তিনি কখোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননা শিক্ষার্র্থীদের মঙ্গলের জন্যই শাসন করে থাকেন হয়ত সেদিন আমাদের অনেকেরই তা বুঝবার ক্ষমতা হয়নি, তবে তা এখন বুঝতে পারি। সে দিন যদি ফাতেমা ম্যাম শাসন এবং স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ না করতেন তাহলে মফস্বলের একজন শিক্ষার্থী হয়ে কখোনোই ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেতাম না। শুধু আমি নয় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর আমার অনেক সিনিয়র বা জুনিয়রদেও কাছেও শুনেছি ফাতেমা ম্যাম হচ্ছে পরশ পাথর যা সাধারণ দৃষ্টিতে বুঝবার ক্ষমতা অনেকেরই নেই।
আমার এ প্রবন্ধ লেখার মাঝে হঠাৎ করে দীপা বন্দ্যোপাধ্যায় এর লেখা একটি প্রবন্ধের কথা মনে পড়েছে তিনি সে প্রবন্ধে বলেছেন নারীরা প্রবন্ধ লেখার ইচ্ছা পোষণ করায়, সে সময় পুরুষরা নারী লেখক সম্পর্কে বলেছে ‘আরশোলার পাখি হওয়ার ইচ্ছে হয়েছে।’ এ কথাটি এ জন্য বলা হয়ত আমাকে নিয়েও অনেকে এমন মন্তব্য করতে পারেন। অবশ্য তাতে আমার মন খারাপ হওয়ার কিছুই নেই। কারণ নারীর প্রতি পুরুষের এ লাঞ্ছনা, অবমাননার একটি সামাজিক ভিত্তি আছে। প্রায় দু’ হাজার ৩’শ বছর আগে অ্যারিস্টটল বলেছিলেন, মেয়েরা পুরুষের তুলনায় অক্ষম ও স্বল্প বুদ্ধিসম্পন্ন। অ্যারিস্টটলকে অনুসরণ করে যুগের পর যুগ ধরে পুরুষেরা তোতাপাখির মতো একই কথা আউড়ে গেছেন, শুধু তাই নয় সমাজপতিরা তাদের দেয়া অনুশাসন নারীর জীবন, স্বপ্ন,তাদের মতামতের ক্ষমতাকে বিকশিত হতে না দিয়ে যুগ-যুগ ধরে তাদেরকে অন্দরমহলের অন্ধকারে আবর্জনার স্তুপে আবদ্ধ করে মেয়েদের বুদ্ধি বিকাশের সব পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র বলেছিলেন ‘নারিকেলের মালা বড় কাজে লাগে না, স্ত্রীলোকের বিদ্যাও বড় নয়।’ আজ সে সব কথা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
একজন নবীন লেখক হিসেবে এ মুহুর্তে মনে পড়ছে, লেখিকা মেরি ওয়ালস্টোনক্র্যাফট এর কথা যিনি ১৭৯১ খ্রি. একটি বই লেখেন তবে বইটির সংশোধিত দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৭৯২ খ্রি., লেখিকা মেরি ওয়ালস্টোনক্র্যাফট এর দুর্ভাগ্য, পশ্চিমের যে উন্নত দেশে বইটি লেখা হয়েছিল খোদ সে ইংলন্ডের শিক্ষিত সমাজ বইটি প্রত্যাখ্যান করে এর পরও তিনি হাল ছাড়েননি, অবশেষে দীর্ঘ ৫০ বছর সময় লেগেছিল তার বইটির স্বীকৃতি পেতে।
একটি কথা না বল্লেই নয়, লেখিকা মেরির মানবিক আহ্বানকে তখন অসম্মানের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছিল তাঁর সমসাময়িক সমাজ। শুধু তাই নয় ইংলন্ডের নারীসমাজের মধ্যেও সেদিন কোনো সাড়া তুলতে পারেনি। এমনকি সমাজ সংস্কারের সঙ্গে যেসব নারী সম্পৃক্ত ছিলেন কিংবা নারী অধিকার আন্দোলনের নেত্রীরাও মেরির মতামতকে গ্রহণের ক্ষেত্রে দ্বিধা এবং সঙ্কোচে ভুগেছেন। ভিনডিকেশ্যান প্রকাশের এক শতাব্দী পর নৈরাজ্যবাদী এমা গোল্ডম্যান দীর্ঘদিনের অবহেলিত মেরিকে ‘আধুনিক নারীত্বের প্রথম প্রবক্তা’ বলে আখ্যায়িত করেন। মূলত এটাই ছিল লেখিকা মেরির পাওনা। কারণ স্বশিক্ষিত মেরি অবহেলা আর অসম্মান সত্ত্বেও নিজের বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন।
ঠিক আমিও নবীন লেখক হিসেবে আজ ফাতেমা ম্যামকে নিয়ে যে প্রবন্ধ লিখতে বসেছি এর জন্য যদি আমাকে নিয়ে কেউ ‘আরশোলার পাখি হওয়ার ইচ্ছে হয়েছে’ বলে মনে করে থাকেন তাতে আমিও অবাক হবো না। কারণ হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন,“দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না” তাই, আমার নিজের প্রতি নিজের বিশ^াস আছে। একজন মহৎ প্রাণ শিক্ষকের সংগ্রামী জীবন নিয়ে যদি দু’চারটি কথা না লিখি তাহলে নিজের বিবেকের কাছে নিজেই অপরাধী হবো বলে আমি মনে করি। কারণ ‘অবমাননা থেকে মুক্তির দায়িত্ব নিজে নিজেই নিতে হবে। অচেতন জড়ত্বের অবমাননা থেকে বেরিয়ে এসে পালন করতে হবে সচেতন অস্তিত্বের ভূমিকা। হোক সে-ভূমিকা সংঘাতময়, হোক সে-ভূমিকা আত্মকেন্দ্রিক। প্রজাতির প্রতি পরিপূর্ণ নিবেদন থেকে অব্যাহতি নিয়ে ব্যক্তিগত বিকাশে মনোযোগি হতে হবে। মুছে ফেলতে হবে অমর্যাদার চিহ্ন। কেউ সমালোচনা করবে ভাবলে আমার কলম অগ্রগামী হবেন না, তাই সত্য প্রকাশে প্রিয় একজন শিক্ষককে নিয়ে প্রবন্ধ লেখার মাধ্যমে আমার পথচলায় প্রবীণ লেখকদের দোয়া ও আশির্বাদ চাই।
প্রবীণ লেখকদের দোয়া ও আর্শিবাদ থাকলেই আমার সততা সঠিক পথে পরিচালিত হবে বলে মনে করি।কারণ আমি দেখেছি অনেক জনপ্রিয় মানুষকে তাদের সততা ও আদর্শ না থাকায় তারা ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। এর মূল উদঘাটনে জানা গেছে, একজন বোকা মানুষও ঠকতে ঠকতে বুঝে যায়,কে তার ভালো চায়, আর কে তাকে ঠকায়। এ ভাবেই জনপ্রিয় অনেক প্রতারক মানুষ বোকা মানুষের কাছেই একদিন পরাজিত হয়।
লেখার জগতেও সৎ এবং ধৈর্যশীল মানুষের বিকল্প নেই। সত্যবাদীতা মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ গুণের একটি। যার মাঝে যত বেশি সত্যবাদীতা রয়েছে তার মাঝে ততবেশি উচ্চ কণ্ঠে সত্য কথা বলার সাহস থাকে। সুতরাং শিক্ষা হওয়া চাই এমন-প্রতিটি শিক্ষা প্রথিষ্ঠানেই ফাতেমা ম্যামের মতো একজন শিক্ষক সন্তান স্নেহে দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে যদি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষা দেন, তাহলে শুধু লেখার জগৎই নয়, যে জগতেই বিচরণ করবেন,সে জগতেই তার সততা ও আদর্শের দ্বারা সুখ্যাতি পাবেন। পরিশেষে আমার এটুকু চাওয়ার পূর্ণতা যেন পাই এ প্রত্যাশায়—।
লেখক:
মোঃ এরশাদ মাহমুদ
শিক্ষার্থী, জিয়াংসু ইউনিভার্সিটি, চায়না।
সাবেক শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়।
অফিসার (লাইব্রেরী এন্ড ডকুমেন্টশন)
বিএসি ইন্টারন্যাশনাল স্টাডি সেন্টার (ব্রিটিশ এমেরিকান ইউনিভার্সিটি)