এসএম ইকবাল : ফরিদগঞ্জের ১৩টি ইউপি নির্বাচনে নৌকা পেতে শতাধিক প্রার্থী এখন উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে থাকলেও বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আছে স্বস্তিতে। বিএনপির দলীয় প্রতীক না দেয়ার সিদ্বান্তে প্রার্থীদের মধ্যে এলাকায় তাদের নির্ব্চানী প্রচার নিয়ে চলছে নানা তৎপরতা। আজ কালের মধ্যেই নৌকা প্রতীক বরাদ্দ হলেও বিএনপির প্রার্থীরাও বসে নইে।
এবারের নির্বাচনে জমজমাট নির্বাচনী খেলা হবে বলে জানিয়েছে নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে বর্তমান এমপি মুহম্মদ শফিকুর রহমানের নিজ ইউনিয়ন ২নং বালিথুবা (পূর্ব) ও সাবেক এমপি ডঃ শামছুল হক ভুঁইয়ার নিজ ইউনিয়ন ১৬ নং (দক্ষিন) রুপসা ইউনিয়নে নির্বাচনের উত্তাপ থাকবে তুংঙ্গে। এ দুটি ইউনিয়নেই বর্তমান ও সাবেক এমপির অনুসারী প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে কেউ কাউকে ছাড় না দেয়ার পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ওই দুটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক ধারী প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়জন প্রার্থ্ ী।
তবে যে সকল প্রার্থী নৌকা প্রতীক পেতে ঢাকায় গিয়ে লবিং করছে তারা কার্যত এখন উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে সময় পার করছে। কোন কোন প্রার্থীর ভাবনাটা এমন,নৌকা প্রতীক না পেলেও নির্বাচনে জয়ী হতে দলের প্রার্থীর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতায় অংশ গ্রহন করবে বলে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগের মতো নৌকা পেলেই পাশ এমন ভাবনা সফল না হওয়ার সম্ভাবনা এবার বেশী।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের চেয়ে প্রার্থীর গ্রহনযোগ্যতাই ভোটারদের কাছে বেশী প্রাধান্য পাবে। গত ইউপি নির্বাচনে যারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন। এবার সেই সব বিদ্রোহী প্রার্থীরও নৌকা প্রতীক পেতে নাম পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে। এ নিয়ে বিশেষ করে সরকারি দলের মধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কয়েকটি মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে গোপন সমজোতা বিনিময়ের মাধ্যমে ১নং প্রার্থীর নাম হিসেবে কেন্দ্র পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়জন ভোটার জানায়, এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকধারাী প্রার্থীর চেয়ে গ্রহনযোগ্য প্রার্থীই প্রাধান্য পাবে বেশী। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবার প্রতিটি ইউনিয়নেই গ্রহনযোগ্য ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করবে ভোটারগন জানিয়েছেন।
দলের একাধিক সুত্র জানায়, ১৩ টি ইউনয়নের ইউপি পদে শতাধিক প্রার্থী নৌকা প্রতীক পেতে পেতে দলীয় মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছে। এর পরিসংখ্যানে দেখা যায়,প্রতি প্রার্থী ঢাকায় আসা যাওয়া সহ বিভিন্ন খরচ বাবৎ কমপক্ষে প্রতিপ্রার্থীর ৫০ হাজার টাকা খরচ ধরা হলেও প্রায় অর্ধকোটি টাকা ইতিমধ্যে ব্যায় হয়ে গেছে।
এদিকে সরকারি দলের মধ্যে তিনটি পৃথক গ্রুপের মধ্যেই এবার ভোট যুদ্ধ চলবে। মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার আশায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরাই বেশী সক্রিয় । নির্বাচন করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না থাকলেও প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পাশাপাশি বিএনপির নেতা কিংবা কর্মীরা তাদের দলীয় প্রার্থীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নেই মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নির্বাচন অফিস সুত্র জানায়, মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেশ সময় হচ্ছে ৭ ডিসেম্ভর, মনোনয়ন পত্র বাছাই হবে ৯ ডিসেম্ভর, দাখিল করা মনোনয়ন পত্র বাতিল হলে তা নিষ্পত্তির সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্ভর। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের তারিখ হলো ১৫ ডিসেম্ভর সবশেষে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১৭ ডিসেম্ভর।