ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর বালিয়ায় জেলেদের চাল ভাগাভাগির করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধিধ: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের জেলেদের চাল সঠিক ভাবে বিতরণ না করে চেয়ারম্যান মেম্বারগন ভাগাভাগি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Model Hospital

৭ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যান মেম্বারগন জেলেদের ৬০ বস্তা চাল ভাগা ভাগি করে নিয়েছে বলে সংবাদকর্মীদের স্থানীয়রা জানিয়েছে। রক্ষক যখন বক্ষক হয়, জনসাধারণ তখন কি করবে। জেলেদের জন্য সরকারি বরাদ্ধ অনুযায়ী চাল বিতরণ না করে চেয়ার‌্যান মেম্বারগন ভাগা ভাগি করে নিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ইউনিয়নের কার্ডধারী জেলেদের মাঝে ইউপি চেয়ারমান রফিকুল্ল্যাহ পাটওয়ারী চাল বিতরণ করেন। সে সময় ৫৫ থেকে ৬০ কেজি করে জেলেদের চাল দেওয়া হয় বলে জানা যায়, সে চাল বিতরণের এক সপ্তাহ পরে পরিষদের সবাই মিলে ভাগা ভাগি করে চাল নিয়ে যান। ৭ ফেব্রুয়ায়ী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল্ল্যাহ পাটওয়ারীর বাড়িতে চাল নেওয়ার পথে সংবাদকর্মীরা ছবি তুলেন এবং অটো চালক চেয়ারম্যানের বাড়িতে চাল নিয়ে যাচ্ছেন বলে বিষয়টি নিশ্চত করেছেন । এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের দেওয়া ইউপি ট্যাগ অফিসার থাকার পর ও কিভাবে দায়িত্বরত সবাই জেলেদের চাল সঠিক ভাবে বিতরণ না করে ভাগা ভাগি হয়। বালিয়া ইউপি ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা সহকারী অফিসার দিবাস চন্দ্র দাস।

বিষয়টি যখন বিভিন্ন মাধ্যমে মৎস্য কর্মকর্তা ও সদর ইউএনও কান পর্যন্ত যায়, তখন বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে ৭ ফ্রেব্রুয়ারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও কার্যালয়ে তলপ করে চাল উদ্ধার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয় বলে বিভিন্ন মাধ্যম সংবাদকর্মীদের জানান।

এ বিষয়ে বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল্ল্যাহ পাটওয়ারী জানান, বিষয়টি নিয়ে কিছু লোক সরযন্ত্র করেছে। সরকারে বেঁেধে দেওয়া নিয়েমে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে জেলেদের চাল দেওয়া হয়েছে। কোন প্রকার অনিয়ম ছাড়াই কার্ডধারী জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণে কোন প্রকার যাতে অনিয়ম না হয়, সেজন্য আমি সব সময় মনিটরিংয়ে ছিলাম। যে অভিযোগটি উঠেছে, তা সঠিক নয়।

উল্লেখ্য: বালিয়া ইউনিয়নের কার্ডধারী ৭শত ৯১ জেলে রয়েছে। এর মধে-৭শত ১৯ জনের চাল বরাদ্ধ আসে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-২

চাঁদপুর বালিয়ায় জেলেদের চাল ভাগাভাগির করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০২:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধিধ: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের জেলেদের চাল সঠিক ভাবে বিতরণ না করে চেয়ারম্যান মেম্বারগন ভাগাভাগি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Model Hospital

৭ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যান মেম্বারগন জেলেদের ৬০ বস্তা চাল ভাগা ভাগি করে নিয়েছে বলে সংবাদকর্মীদের স্থানীয়রা জানিয়েছে। রক্ষক যখন বক্ষক হয়, জনসাধারণ তখন কি করবে। জেলেদের জন্য সরকারি বরাদ্ধ অনুযায়ী চাল বিতরণ না করে চেয়ার‌্যান মেম্বারগন ভাগা ভাগি করে নিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ইউনিয়নের কার্ডধারী জেলেদের মাঝে ইউপি চেয়ারমান রফিকুল্ল্যাহ পাটওয়ারী চাল বিতরণ করেন। সে সময় ৫৫ থেকে ৬০ কেজি করে জেলেদের চাল দেওয়া হয় বলে জানা যায়, সে চাল বিতরণের এক সপ্তাহ পরে পরিষদের সবাই মিলে ভাগা ভাগি করে চাল নিয়ে যান। ৭ ফেব্রুয়ায়ী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল্ল্যাহ পাটওয়ারীর বাড়িতে চাল নেওয়ার পথে সংবাদকর্মীরা ছবি তুলেন এবং অটো চালক চেয়ারম্যানের বাড়িতে চাল নিয়ে যাচ্ছেন বলে বিষয়টি নিশ্চত করেছেন । এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের দেওয়া ইউপি ট্যাগ অফিসার থাকার পর ও কিভাবে দায়িত্বরত সবাই জেলেদের চাল সঠিক ভাবে বিতরণ না করে ভাগা ভাগি হয়। বালিয়া ইউপি ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা সহকারী অফিসার দিবাস চন্দ্র দাস।

বিষয়টি যখন বিভিন্ন মাধ্যমে মৎস্য কর্মকর্তা ও সদর ইউএনও কান পর্যন্ত যায়, তখন বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে ৭ ফ্রেব্রুয়ারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও কার্যালয়ে তলপ করে চাল উদ্ধার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয় বলে বিভিন্ন মাধ্যম সংবাদকর্মীদের জানান।

এ বিষয়ে বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল্ল্যাহ পাটওয়ারী জানান, বিষয়টি নিয়ে কিছু লোক সরযন্ত্র করেছে। সরকারে বেঁেধে দেওয়া নিয়েমে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে জেলেদের চাল দেওয়া হয়েছে। কোন প্রকার অনিয়ম ছাড়াই কার্ডধারী জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণে কোন প্রকার যাতে অনিয়ম না হয়, সেজন্য আমি সব সময় মনিটরিংয়ে ছিলাম। যে অভিযোগটি উঠেছে, তা সঠিক নয়।

উল্লেখ্য: বালিয়া ইউনিয়নের কার্ডধারী ৭শত ৯১ জেলে রয়েছে। এর মধে-৭শত ১৯ জনের চাল বরাদ্ধ আসে।