ঢাকা ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়মিত উত্তোলন হয়না জাতীয় পতাকা !

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বহীনতার কারণে নিয়মিত জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়নি। সঠিক তদারকি না থাকায় প্রায় সময়ই হাসপাতালের সামনে থাকা পতাকা টানানোর খুঁটিটি পতাকা বিহীন শূন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
নিয়ম অনুযায়ী বিকেল ৪টার মধ্যে পতাকা নামানোর নিয়ম থাকলেও কখনো কখনো রাতের বেলায়ও ওই খুঁটিতে পতাকা উড়তে দেখা গেছে।
একটি দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্বের প্রতীক হচ্ছে তার পতাকা। আর এ পতাকা একটি দেশ তথা রাষ্ট্রের পরিচয় বহন করে। তেমনি আমাদের দেশের পরাধীনতার আবরণ থেকে বের হয়ে স্বাধীনতার সোনালি অক্ষরে নাম লিখানোর একটি অর্জন হচ্ছে এ সবুজের বুকে লাল পতাকা। আর সেই পতাকা ব্যবহারের নিয়ম মানছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ছুটির দিন ব্যধিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কখন পতাকা টানাতে হয় এবং কখন তা নামাতে হয় সে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নিজেদের ইচ্ছে মতো জাতীয় পতাকা নিয়ে অবজ্ঞা আর অবহেলা করছেন এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
২১ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়, ওইদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উড়ানো হয়নি। হাসপাতালের সামনে থাকা খুঁটিটি পতাকা বিহীন পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিকেল তিনটার পরেও জাতীয় পতাকা টানাতে দেখা যায়নি।
প্রতিনিয়ত হাসপাতালের সামনে থাকা একাধিক ব্যক্তির কাছে খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রায় সময়ই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখানে জাতীয় পতাকা টানানো হয় না। আবার পতাকা টাঙ্গানো হলেও কখনো, কখনো বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও খুঁটিতে উড়তে থাকে পতাকা। সঠিক সময়ে তা নামানো হয়নি। মাস খানেক পূর্বেও এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
জেলার একটি প্রধানতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা নিয়ে এমন অবজ্ঞা আর অবহেলাকে দায়িত্বহীনতাই মনে করছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি অনেকটা দায়িত্বহীনতার মতো বলেন, ‘প্রতিদিন পতাকা টানানোর জন্য জরুরী বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছি। যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছি আমি তাদেরকে বলে রাখবো যাতে তারা নিয়মিত পতাকা টানায়।’
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সমবেদনা জানান জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়মিত উত্তোলন হয়না জাতীয় পতাকা !

আপডেট সময় : ০১:০৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বহীনতার কারণে নিয়মিত জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়নি। সঠিক তদারকি না থাকায় প্রায় সময়ই হাসপাতালের সামনে থাকা পতাকা টানানোর খুঁটিটি পতাকা বিহীন শূন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
নিয়ম অনুযায়ী বিকেল ৪টার মধ্যে পতাকা নামানোর নিয়ম থাকলেও কখনো কখনো রাতের বেলায়ও ওই খুঁটিতে পতাকা উড়তে দেখা গেছে।
একটি দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্বের প্রতীক হচ্ছে তার পতাকা। আর এ পতাকা একটি দেশ তথা রাষ্ট্রের পরিচয় বহন করে। তেমনি আমাদের দেশের পরাধীনতার আবরণ থেকে বের হয়ে স্বাধীনতার সোনালি অক্ষরে নাম লিখানোর একটি অর্জন হচ্ছে এ সবুজের বুকে লাল পতাকা। আর সেই পতাকা ব্যবহারের নিয়ম মানছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ছুটির দিন ব্যধিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কখন পতাকা টানাতে হয় এবং কখন তা নামাতে হয় সে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নিজেদের ইচ্ছে মতো জাতীয় পতাকা নিয়ে অবজ্ঞা আর অবহেলা করছেন এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
২১ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে সরজমিনে দেখা যায়, ওইদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উড়ানো হয়নি। হাসপাতালের সামনে থাকা খুঁটিটি পতাকা বিহীন পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিকেল তিনটার পরেও জাতীয় পতাকা টানাতে দেখা যায়নি।
প্রতিনিয়ত হাসপাতালের সামনে থাকা একাধিক ব্যক্তির কাছে খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রায় সময়ই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখানে জাতীয় পতাকা টানানো হয় না। আবার পতাকা টাঙ্গানো হলেও কখনো, কখনো বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও খুঁটিতে উড়তে থাকে পতাকা। সঠিক সময়ে তা নামানো হয়নি। মাস খানেক পূর্বেও এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
জেলার একটি প্রধানতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা নিয়ে এমন অবজ্ঞা আর অবহেলাকে দায়িত্বহীনতাই মনে করছেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি অনেকটা দায়িত্বহীনতার মতো বলেন, ‘প্রতিদিন পতাকা টানানোর জন্য জরুরী বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছি। যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছি আমি তাদেরকে বলে রাখবো যাতে তারা নিয়মিত পতাকা টানায়।’