ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দেয়ালে ফাটল-ছাদে ভাঙা টিন-নেই জানালা, ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : দেয়ালে ফাটল, খসে পড়েছে পলেস্তারা, ভাঙা পিলার, ছাদে ভাঙা টিন, নেই দরজা-জানালা। দূর থেকে দেখে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ ভবন মনে হলেও আসলে এটি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের ১৬২নং নিজ গাছতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির এমনি করুণ দশা। এই জরাজীর্ণ ভবনেই পাঠদান চলছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। জং ধরা রডগুলো বের হয়ে আছে। অনেক স্থানে ফাটল ধরেছে। ৩টি শ্রেণি কক্ষের মধ্যে ১টি পাশের দেয়াল ধ্বসে পড়ে মাটিতে মিশে গেছে বহু আগেই। আর অবশিষ্ট ২টি শ্রেণিকক্ষের ভাঙা দরজা, নেই জানালা। ফলে দক্ষিণ বাতাসের সঙ্গে ভেসে আসছে গোয়ালের দুর্গন্ধ। মাথার ওপর টিনের চাল কোথাও আছে, কোথাও ফুটো, আবার কোথাও একেবারেই নেই। অনেক কক্ষের দরজা-জানালা নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি চুইয়ে পড়ে ভবনের ভেতরে। এই সব শ্রেণিকক্ষ নিয়ে যেমন শঙ্কায় দিন পার করছে শিক্ষার্থীরা, তেমনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে নিজ গাছতলা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ছোট্ট একটি অফিস রুমসহ টিনসেড ভবন নিয়েই রেজিস্টার্ড স্কুল থেকে ২০১১ সালে জাতীয়করণ করে সরকার। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যেও সংস্কার না করায় ভবনটির শ্রেণিকক্ষগুলো বর্তমানে একেবারেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত একজন প্রধান শিক্ষক ও চারজন সহকারী শিক্ষক পাঠদান করছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে তাদের ভয় করে। কখন কোন দেয়াল ভেঙে পড়ে এই আতঙ্কে থাকে তারা। পলেস্তারা ভেঙে ধুলাবালি চোখে ও গায়ে পড়ে। পড়াশোনা করতে খুব সমস্যা হয়।
শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শ্রেণিকক্ষগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয়ে আসতে দিতে চান না। তারাও শিক্ষার্থী এবং নিজেদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত। এছাড়াও অনেকেই বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সন্তানদের বেসরকারি স্কুলে পড়াচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইভা আক্তার জানান, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিতে ক্লাস করতে ভীষণ ভয় লাগে। আমাদের ক্লাসে বসতে অসুবিধা হয়। বেঞ্চ ভাঙা। ছাদের পলেস্তারা ভেঙে ধুলাবালি চোখে ও শরীরে পড়ে এমনকি পায়েও রড ঢুকে যায়। বৃষ্টি হলে বই, খাতা ভিজে যায়।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শামিম গাজী জানান, আমাদের স্কুলে ভবন ভাঙা। স্কুলের ছাল দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। বেঞ্চগুলো ভাঙা এতে লেখার সময় সমস্যা হয়।
সহকারী শিক্ষিকা আকলিমা আক্তার জানান, পুরাতন টিনশেড ভবনটি অনেক বছর যাবৎ জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় পাঠদান খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা মনোযোগী হচ্ছে না। আমরাও তাদের মনোযোগী করতে পারছি না। তারা আতঙ্কে থাকে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে। বৃষ্টি আসলে তাদের বই পুস্তক ভিজে যায়। আমাদের শরীরে পানি পড়ে। গরমের দিন প্রচন্ড গরমে দম বন্ধ হয়ে আসে। কোমলমতি বাচ্চারা যেন আনন্দের সঙ্গে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে, সেজন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন একটি নতুন ভবন দেওয়ার জন্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফসা বেগম বলেন, বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করা খুবই কষ্টদায়ক। ২০১৭ সালে একটি ভবন বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্ত ভূমি নিচু হওয়ার কারণে ২০২২ সালে টেন্ডার বাতিল হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। জরুরি ভিত্তিতে জায়গা ভরাট করে ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে একটি টেন্ডার হয়। কিন্তু নিচু ভূমি এবং জমি সমস্যার কারণে এর কাজ বিলম্ব হওয়ায় গত বছরের ২৬ মে মাসে শিক্ষা কমিটি ভবন নির্মাণের টেন্ডার বাতিল করা হয়। স্থান উপযোগী ভবণ নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। একই বছরের আমরা অক্টোবর ও নভেম্বরে ১৮ কলামের তথ্য পূরণ করে অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছি। আশা করি খুব দ্রুতই ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার স্লেহাল রায় জানান, বিদ্যালয়ের ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে একটি নতুন ভবন তৈরির করার কথা ছিল। কিন্তু ডিজাইন প্ল্যান্ট অনুযায়ী বিদ্যালয়ে জমি স্বল্পতার কারণে নতুন ভবন তৈরি হয়নি। এতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের চুক্তি বাতিল হয়। এছাড়া স্কুলটির একটি নিচু জমি রয়েছে এটি সয়েল টেস্ট করা হয়। জায়গাটি উপলজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ের টিআর কাবিখার মাধ্যমে বালু দিয়ে ভরাট করা হয়। ভরাটকৃত জমিতে নতুন ভবন তৈরি করা জন্য সদর দপ্তর থেকে অঞ্চলের তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলীর কাছে চিঠি প্রেরণ করা হয়। এটি যাছাই-বাছাই করবে। তারা ভরাটকৃত জমিতে নতুন ভবন তৈরির জন্য অনুমোদন দিলে আমরা নতুন ভবনের কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুলের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার ভরাটকৃত জমির মধ্যে টিনের একটি ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তবে পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি।
ট্যাগস :

শাহরাস্তিতে পিকআপ ভ্যান ও সিএনজি স্কুটারের সংঘর্ষে ২জন নিহত

দেয়ালে ফাটল-ছাদে ভাঙা টিন-নেই জানালা, ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান

আপডেট সময় : ০২:০১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : দেয়ালে ফাটল, খসে পড়েছে পলেস্তারা, ভাঙা পিলার, ছাদে ভাঙা টিন, নেই দরজা-জানালা। দূর থেকে দেখে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ ভবন মনে হলেও আসলে এটি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের ১৬২নং নিজ গাছতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির এমনি করুণ দশা। এই জরাজীর্ণ ভবনেই পাঠদান চলছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। জং ধরা রডগুলো বের হয়ে আছে। অনেক স্থানে ফাটল ধরেছে। ৩টি শ্রেণি কক্ষের মধ্যে ১টি পাশের দেয়াল ধ্বসে পড়ে মাটিতে মিশে গেছে বহু আগেই। আর অবশিষ্ট ২টি শ্রেণিকক্ষের ভাঙা দরজা, নেই জানালা। ফলে দক্ষিণ বাতাসের সঙ্গে ভেসে আসছে গোয়ালের দুর্গন্ধ। মাথার ওপর টিনের চাল কোথাও আছে, কোথাও ফুটো, আবার কোথাও একেবারেই নেই। অনেক কক্ষের দরজা-জানালা নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি চুইয়ে পড়ে ভবনের ভেতরে। এই সব শ্রেণিকক্ষ নিয়ে যেমন শঙ্কায় দিন পার করছে শিক্ষার্থীরা, তেমনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে নিজ গাছতলা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ছোট্ট একটি অফিস রুমসহ টিনসেড ভবন নিয়েই রেজিস্টার্ড স্কুল থেকে ২০১১ সালে জাতীয়করণ করে সরকার। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যেও সংস্কার না করায় ভবনটির শ্রেণিকক্ষগুলো বর্তমানে একেবারেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত একজন প্রধান শিক্ষক ও চারজন সহকারী শিক্ষক পাঠদান করছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে তাদের ভয় করে। কখন কোন দেয়াল ভেঙে পড়ে এই আতঙ্কে থাকে তারা। পলেস্তারা ভেঙে ধুলাবালি চোখে ও গায়ে পড়ে। পড়াশোনা করতে খুব সমস্যা হয়।
শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শ্রেণিকক্ষগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয়ে আসতে দিতে চান না। তারাও শিক্ষার্থী এবং নিজেদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত। এছাড়াও অনেকেই বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সন্তানদের বেসরকারি স্কুলে পড়াচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইভা আক্তার জানান, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিতে ক্লাস করতে ভীষণ ভয় লাগে। আমাদের ক্লাসে বসতে অসুবিধা হয়। বেঞ্চ ভাঙা। ছাদের পলেস্তারা ভেঙে ধুলাবালি চোখে ও শরীরে পড়ে এমনকি পায়েও রড ঢুকে যায়। বৃষ্টি হলে বই, খাতা ভিজে যায়।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শামিম গাজী জানান, আমাদের স্কুলে ভবন ভাঙা। স্কুলের ছাল দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। বেঞ্চগুলো ভাঙা এতে লেখার সময় সমস্যা হয়।
সহকারী শিক্ষিকা আকলিমা আক্তার জানান, পুরাতন টিনশেড ভবনটি অনেক বছর যাবৎ জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় পাঠদান খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা মনোযোগী হচ্ছে না। আমরাও তাদের মনোযোগী করতে পারছি না। তারা আতঙ্কে থাকে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে। বৃষ্টি আসলে তাদের বই পুস্তক ভিজে যায়। আমাদের শরীরে পানি পড়ে। গরমের দিন প্রচন্ড গরমে দম বন্ধ হয়ে আসে। কোমলমতি বাচ্চারা যেন আনন্দের সঙ্গে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে, সেজন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন একটি নতুন ভবন দেওয়ার জন্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফসা বেগম বলেন, বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করা খুবই কষ্টদায়ক। ২০১৭ সালে একটি ভবন বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্ত ভূমি নিচু হওয়ার কারণে ২০২২ সালে টেন্ডার বাতিল হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। জরুরি ভিত্তিতে জায়গা ভরাট করে ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে একটি টেন্ডার হয়। কিন্তু নিচু ভূমি এবং জমি সমস্যার কারণে এর কাজ বিলম্ব হওয়ায় গত বছরের ২৬ মে মাসে শিক্ষা কমিটি ভবন নির্মাণের টেন্ডার বাতিল করা হয়। স্থান উপযোগী ভবণ নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। একই বছরের আমরা অক্টোবর ও নভেম্বরে ১৮ কলামের তথ্য পূরণ করে অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছি। আশা করি খুব দ্রুতই ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার স্লেহাল রায় জানান, বিদ্যালয়ের ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে একটি নতুন ভবন তৈরির করার কথা ছিল। কিন্তু ডিজাইন প্ল্যান্ট অনুযায়ী বিদ্যালয়ে জমি স্বল্পতার কারণে নতুন ভবন তৈরি হয়নি। এতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের চুক্তি বাতিল হয়। এছাড়া স্কুলটির একটি নিচু জমি রয়েছে এটি সয়েল টেস্ট করা হয়। জায়গাটি উপলজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ের টিআর কাবিখার মাধ্যমে বালু দিয়ে ভরাট করা হয়। ভরাটকৃত জমিতে নতুন ভবন তৈরি করা জন্য সদর দপ্তর থেকে অঞ্চলের তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলীর কাছে চিঠি প্রেরণ করা হয়। এটি যাছাই-বাছাই করবে। তারা ভরাটকৃত জমিতে নতুন ভবন তৈরির জন্য অনুমোদন দিলে আমরা নতুন ভবনের কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুলের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার ভরাটকৃত জমির মধ্যে টিনের একটি ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তবে পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি।