ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় বারের সভাপতি হেলাল, হেট্রিক করলেন মাঈনুদ্দিন

নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বহুল প্রতীক্ষিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অবশেষে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এতে দ্বিতীয় বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজী ও সাধারন সম্পাদক হিসাবে হেট্রিক হরেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মো. মাঈনুদ্দিন।

Model Hospital

২৬ নভেম্বর শনিবার পৌর বাসটার্মিনালে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ দীর্ঘ সময় ধরে বক্তব্য শুনেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাঁধা সৃষ্টি করতে বিএনপির যত মাথা ব্যথা। বাংলার জনগণ দেখেছে বঙ্গবন্ধুর পর তার সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, পায়রা বিমানবন্দরসহ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ, স্কুল, কলেজ, ব্রীজ, কালভাট, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন দেখে বিএনপি বিকল্প চিন্তায় হাটছেন। তাদের হুংকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভয় পায়না। তাই আগামিতেও তাদের আন্দোলন সংগ্রাম কোন ভাবে সফল করতে পারবে না।

স্বাধীনতার বিরোধী বিএনপি জামায়াত বিজয়ের মাসে ঢাকায় যে সমাবেশ ঢেকেছে তা কোন ভাবে সফল হবে না। এই বাংলার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে রূখে দাড়াবে। বিএনপি আজকে মানুষের পায়ে পাড়া দিয়ে গোলযোগ সৃষ্টি করতে চায়। তারা সমাবেশের নামে বিভিন্ন জায়গায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তাদের ভাবখানা এমন যেন ১০ তারিখের পর সরকাই থাকবে না। তারাতো বলেই দিয়েছে- ১০ ডিসেম্বরের পর নাকি দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়ার কথা দেশ চলবে। আমরা বলতে চাই- ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস। ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মাস। এ মাস কোন রাজাকার-আলবদরদের হতে পারে না। ডিসেম্বর মাসে ষড়যন্ত্র করতে যদি মাঠে নামেন তাহলে উচিৎ শিক্ষা এ বাংলার জনগণ দিয়ে দিবে।

তিনি বলেন, বিএনপি ঢাকায় নাকি ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করবে। তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তারা সমাবেশ পল্টনে করতে চায়। কিন্তু তাদের জনসমাবেশের সংখ্যা দেখে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সমাবেশের জন্য ভালো হবে। তারা সেখানে সমাবেশ করবেন না। পল্টনেতো ৫০/৬০ হাজারের বেশি লোকের জায়গা হবে না। তারপরও কেন তারা সেখানে করতে চায়। কারণ দুইটি, এক হলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত জায়গা। এখানে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষনে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এখানেই ৭১ সালে পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পণ করেছিল। সেই কারণেই তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায় না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রাজাকার-আলবদরদের জন্য একটি মনোকষ্টের জায়গা।

তারা ভাবছে নয়াপল্টনে তাদের অফিসের সামনে লোকজন জমায়েত করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে সরকারকে বিব্রত করতে চায়- এটি তাদের আরেকটি লক্ষ্য। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোন ষড়যন্ত্রের পথ খুজলে তার উচিৎ জবাব দেয়া হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে যদি দুর্বল ভাবেন তাহলে ভুল করবেন। ২০১৩, ২০১৪ সালে জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যা করেছেন। সেই অপকর্মের জন্য যে শাক্তি ভোগ করতে হয়েছে আগামীতে এমন অপরাধের জন্য তার চেয়ে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি আপনাদের হতে হবে। রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

বিশেষ অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, দলের মধ্যে ঐক্যের কোন বিকল্প নাই। যারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে দলে যোগ দিতে চায় তাদেরকে পাশে রেখে রাজনীতি করুণ। বিএনপি জামায়াত যদি আবারো ক্ষমতায় আসে তাহলে আমরা কেউই রেহাই পাবো না। তবে এটা নিশ্চিত দুর্নীতির দায়ে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া বাংলার মাটিতে সরকার গঠন করতে পারবে না। তাদেরকে জনগণ প্রত্যাক্ষান করেছে বলে বার বার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে এবং আগামিতেও এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানাবে।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক সংসদ সদস্য এড. নুরজাহান বেগম মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও পাওয়ার সেলের ডিজি ইঞ্জি. মোহাম্মদ হোসাইন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।

হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক গাজী মো. মাইনুদ্দিনের সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক এড. জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মজিবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবিব অরুন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান কালু, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. হুমায়ুন কবির সুমনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা

হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় বারের সভাপতি হেলাল, হেট্রিক করলেন মাঈনুদ্দিন

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বহুল প্রতীক্ষিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অবশেষে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এতে দ্বিতীয় বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন মিয়াজী ও সাধারন সম্পাদক হিসাবে হেট্রিক হরেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মো. মাঈনুদ্দিন।

Model Hospital

২৬ নভেম্বর শনিবার পৌর বাসটার্মিনালে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনে তৃণমূল নেতৃবৃন্দ দীর্ঘ সময় ধরে বক্তব্য শুনেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাঁধা সৃষ্টি করতে বিএনপির যত মাথা ব্যথা। বাংলার জনগণ দেখেছে বঙ্গবন্ধুর পর তার সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, পায়রা বিমানবন্দরসহ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ, স্কুল, কলেজ, ব্রীজ, কালভাট, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন দেখে বিএনপি বিকল্প চিন্তায় হাটছেন। তাদের হুংকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভয় পায়না। তাই আগামিতেও তাদের আন্দোলন সংগ্রাম কোন ভাবে সফল করতে পারবে না।

স্বাধীনতার বিরোধী বিএনপি জামায়াত বিজয়ের মাসে ঢাকায় যে সমাবেশ ঢেকেছে তা কোন ভাবে সফল হবে না। এই বাংলার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে রূখে দাড়াবে। বিএনপি আজকে মানুষের পায়ে পাড়া দিয়ে গোলযোগ সৃষ্টি করতে চায়। তারা সমাবেশের নামে বিভিন্ন জায়গায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তাদের ভাবখানা এমন যেন ১০ তারিখের পর সরকাই থাকবে না। তারাতো বলেই দিয়েছে- ১০ ডিসেম্বরের পর নাকি দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়ার কথা দেশ চলবে। আমরা বলতে চাই- ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস। ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মাস। এ মাস কোন রাজাকার-আলবদরদের হতে পারে না। ডিসেম্বর মাসে ষড়যন্ত্র করতে যদি মাঠে নামেন তাহলে উচিৎ শিক্ষা এ বাংলার জনগণ দিয়ে দিবে।

তিনি বলেন, বিএনপি ঢাকায় নাকি ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করবে। তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তারা সমাবেশ পল্টনে করতে চায়। কিন্তু তাদের জনসমাবেশের সংখ্যা দেখে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সমাবেশের জন্য ভালো হবে। তারা সেখানে সমাবেশ করবেন না। পল্টনেতো ৫০/৬০ হাজারের বেশি লোকের জায়গা হবে না। তারপরও কেন তারা সেখানে করতে চায়। কারণ দুইটি, এক হলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত জায়গা। এখানে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষনে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এখানেই ৭১ সালে পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পণ করেছিল। সেই কারণেই তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায় না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রাজাকার-আলবদরদের জন্য একটি মনোকষ্টের জায়গা।

তারা ভাবছে নয়াপল্টনে তাদের অফিসের সামনে লোকজন জমায়েত করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে সরকারকে বিব্রত করতে চায়- এটি তাদের আরেকটি লক্ষ্য। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোন ষড়যন্ত্রের পথ খুজলে তার উচিৎ জবাব দেয়া হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে যদি দুর্বল ভাবেন তাহলে ভুল করবেন। ২০১৩, ২০১৪ সালে জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যা করেছেন। সেই অপকর্মের জন্য যে শাক্তি ভোগ করতে হয়েছে আগামীতে এমন অপরাধের জন্য তার চেয়ে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি আপনাদের হতে হবে। রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

বিশেষ অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, দলের মধ্যে ঐক্যের কোন বিকল্প নাই। যারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে দলে যোগ দিতে চায় তাদেরকে পাশে রেখে রাজনীতি করুণ। বিএনপি জামায়াত যদি আবারো ক্ষমতায় আসে তাহলে আমরা কেউই রেহাই পাবো না। তবে এটা নিশ্চিত দুর্নীতির দায়ে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া বাংলার মাটিতে সরকার গঠন করতে পারবে না। তাদেরকে জনগণ প্রত্যাক্ষান করেছে বলে বার বার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে এবং আগামিতেও এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানাবে।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক সংসদ সদস্য এড. নুরজাহান বেগম মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও পাওয়ার সেলের ডিজি ইঞ্জি. মোহাম্মদ হোসাইন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।

হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক গাজী মো. মাইনুদ্দিনের সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক এড. জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মজিবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবিব অরুন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান কালু, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান প্রমুখ।