মো: রাছেল, কচুয়া : আগামী ৫ জানুয়ারি ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। শনিবার সকালে তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৭ ডিসেম্বর। দশম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে মোট ৭শ ৭ টি ইউপিতে।
তফসিল ঘোষনা অনুযায়ী, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৯ ডিসেম্বর। আপিল ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর, নিস্পত্তি ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৫ ডিসম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৭ ডিসেম্বর আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ জানুয়ারি বুধবার।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর নড়েচড়ে বসেছে কচুয়ার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। শুরু হয়ে গেছে প্রার্থীদের দৌড় ঝাঁপ। নির্বাচনী আমেজে ভাসছে উপজেলার সকল জনপদ। ইতিমধ্যে তৃনমূল থেকে প্রার্থীতা বাছাইয়ের মাধ্যমে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোনয়নের লক্ষ্যে কেন্দ্র ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশ মোতাবেক কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ১২টি ইউনিয়নে ১২ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত তৃনমূল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এই বর্ধিত সভা সম্পন্ন হয়।
এতে ১২টি ইউনিয়নে ১১১জন প্রার্থী আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশা করে নাম প্রস্তাব করেন। তাদের মধ্যে সাচার ইউনিয়নে ৭ জন, পাথৈর ইউনিয়নে ৯জন, বিতারা ইউনিয়নে ১১ জন, পালাখাল মডেল ইউনিয়নে ৫ জন, পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নে ৯ জন, উত্তর কচুয়া ইউনিয়নে ১৩জন, সদর দক্ষিন ইউনিয়নে ৮জন, কাদলা ইউনিয়নে ১১ জন, কড়ইয়া ইউনিয়নে ১৪জন , গোহট উত্তর ইউনিয়নে ৮জন, গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নে ১১জন, আশ্রাফপুর ইউনিয়নে ৫জন।
এদিকে বিএনপি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে অংশ না নিলেও অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ক’জন জাতীয় পার্টির প্রার্থীর ও পোস্টার নজরে পড়ে।