ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতলব উত্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ

মনিরুল ইসলাম মনির : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

Model Hospital

শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আওরঙ্গজেব এর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। সভায় আরো অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি নুরুল আমিন রুহুল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। এর আগে কখনো কোন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এতটা ভাবে নি, এত সুবিধা দেয় নি।

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নুরুল আমিন রুহুল আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা কোটার ভিত্তিতে চাকুরী পাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ভালো মানের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল ডাটাবেইজের মাধ্যমে ডিজিটাল সনদপত্র ও স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান করলেন আওয়ামী লীগ সরকার।

সুতরাং যতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে ততদিন বাংলাদেশের উন্নত হবেই। উন্নয়নের জন্যই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করাতেই আজ আমরা তার সুফল ভোগ করতে পারছি। পাকিস্তানি আমলে ৯৫% সিভিল সার্ভিস নিতো তারা আর আমাদের বাঙালীদের দিতো মাত্র ৫%। এমন বৈষম্য থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি শুধু মুক্তিযুদ্ধ হওয়াতে। সেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের জন্য ডাক দিয়েছেন আর বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে ঝাপিয়ে পড়েছেন। তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে না যাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই উন্নত দেশ গঠনে আমরা দ্রুত সফল হতে পারব।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

জেলা প্রশাসক বলেন, আমি যতদিন এই জেলায় থাকব ততদিন সকল অফিসে বলা আছে মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ আগে করবেন। যাতে করে মুক্তিযোদ্ধাকে সেবা নিতে এসে বসে থাকতে না হয়, কোন ভোগান্তি না হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশ্নের জবাবে ডিসি কামরুল হাসান বলেন, সরকার প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ও ডিজিটাল ডাটাবেইজ করছেন। যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারাই সকল সুবিধা পাবেন।

পাশাপাশি সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নামে ঘর দিচ্ছে, পর্যায়েক্রমে সকল মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মানী ভাতা দেওয়া হচ্ছে, তা আরো কম ছিল, এখন বেড়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি করবে সরকার।

যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিয়েছে সম্মানিত করেছেন। আমাদেরকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড দিয়ে অনেক গর্বিত করেছেন। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করছি। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সমবেদনা জানান জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ

মতলব উত্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ

আপডেট সময় : ০৩:১৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

মনিরুল ইসলাম মনির : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

Model Hospital

শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আওরঙ্গজেব এর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। সভায় আরো অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি নুরুল আমিন রুহুল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। এর আগে কখনো কোন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এতটা ভাবে নি, এত সুবিধা দেয় নি।

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নুরুল আমিন রুহুল আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা কোটার ভিত্তিতে চাকুরী পাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ভালো মানের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল ডাটাবেইজের মাধ্যমে ডিজিটাল সনদপত্র ও স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান করলেন আওয়ামী লীগ সরকার।

সুতরাং যতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে ততদিন বাংলাদেশের উন্নত হবেই। উন্নয়নের জন্যই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করাতেই আজ আমরা তার সুফল ভোগ করতে পারছি। পাকিস্তানি আমলে ৯৫% সিভিল সার্ভিস নিতো তারা আর আমাদের বাঙালীদের দিতো মাত্র ৫%। এমন বৈষম্য থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি শুধু মুক্তিযুদ্ধ হওয়াতে। সেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের জন্য ডাক দিয়েছেন আর বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে ঝাপিয়ে পড়েছেন। তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে না যাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই উন্নত দেশ গঠনে আমরা দ্রুত সফল হতে পারব।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

জেলা প্রশাসক বলেন, আমি যতদিন এই জেলায় থাকব ততদিন সকল অফিসে বলা আছে মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ আগে করবেন। যাতে করে মুক্তিযোদ্ধাকে সেবা নিতে এসে বসে থাকতে না হয়, কোন ভোগান্তি না হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশ্নের জবাবে ডিসি কামরুল হাসান বলেন, সরকার প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ও ডিজিটাল ডাটাবেইজ করছেন। যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারাই সকল সুবিধা পাবেন।

পাশাপাশি সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নামে ঘর দিচ্ছে, পর্যায়েক্রমে সকল মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মানী ভাতা দেওয়া হচ্ছে, তা আরো কম ছিল, এখন বেড়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি করবে সরকার।

যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিয়েছে সম্মানিত করেছেন। আমাদেরকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড দিয়ে অনেক গর্বিত করেছেন। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করছি। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।