ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে অপকর্মের উদ্দ্যেশ্যে শিশু শিক্ষার্থীদের টার্গেট করতো হুমায়ন

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরের কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীর পিছু নেওয়া হুমায়ন কবিরের মুছলেখায় মুক্তি মিলেছে। যদিও সে কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীদের টার্গেট করতে নিজ পরিচয় গোপন করে ইউনুছ শেখ ছদ্মনাম ব্যবহার করতো।
২৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে গণি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাস উদ্দিনের কক্ষে সে এই মুছলেখা দিয়ে ছাড়া পান।
চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও কোমলমতি এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুন্না বলেন, আমাদের ছেলে সন্তানটি গণি স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। সে নিয়মিত স্কুলে আসা যাওয়ার পথে তাকে নানা সময়ে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করতো এক লোক। প্রায়ই সে পথে দাঁড়িয়ে দেখে শিশু সন্তানদের তার কাছে একা আসতে বলে। আজও পানি পড়া খাওয়ার কথা বলে আমাদের সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছেলেটি ভয়ে দৌড়ে স্কুলে গিয়ে তার শিক্ষককে এসব কথা খুলে বলে। পরে স্কুল থেকে পদক্ষেপ নিয়ে এই দুঃশচরিত্র লম্পটকে এলাকাবাসীসহ কৌশলে আটক করে স্কুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদকালে আমাদের খবর দিলে আমরা স্কুলে ছুটে এসে এসব বিষয় জানতে পারি। আমরা এই লম্পট চরিত্রের লোকটির কঠোর শাস্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জানা যায়, হুমায়ন কবির ওরোফে ইউনুছ শেখ শরিয়তপুরের নরসিংহপুর এলাকার বাসিন্দা। সে চাঁদপুর শহরের সেবাসিটি সেন্টারের পাশে দোকান ভাড়া নিয়ে কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা করে আসছে। সে ছোট ছোট কোমলমতি ছেলে হউক বা মেয়ে হউক সব ধরনের শিশু সন্তানদের দিকে অসৎ উদ্দ্যেশ্যে টার্গেট করে।
এ বিষয়ে লম্পটাপনীর কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে হুমায়ন কবির বলেন, আমি ভুল করেছি। আর কখনো এসব করবো না। আমি প্রয়োজনে এখানে আর ব্যবসাই করবো না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাঁদপুর গণি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাস উদ্দিন বলেন, অপকর্মের উদ্দ্যেশ্যে শিশু সন্তানদের টার্গেট করতো হুমায়ন কবির নামে এক দুঃশচরিত্র লম্পট। সে আমাদের স্কুলের একটি শিশু শিক্ষার্থীকে অপহরণের উদ্দ্যেশ্যে বেশকিছুদিন টার্গেট করে। পরে আজ বিষয়টি জানাজানি হলে আমি খবর পেলে তাকে এলাকাবাসীসহ তড়িৎ আটকের ব্যবস্থা করি। পরবর্তীতে তার মুছলেখা রেখে ছেড়ে দেই। তবে প্রশাসন যদি এধরণের কুরুচিপূর্ণ লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়। অবশ্যই আমি স্কুলের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-২

চাঁদপুরে অপকর্মের উদ্দ্যেশ্যে শিশু শিক্ষার্থীদের টার্গেট করতো হুমায়ন

আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরের কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীর পিছু নেওয়া হুমায়ন কবিরের মুছলেখায় মুক্তি মিলেছে। যদিও সে কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীদের টার্গেট করতে নিজ পরিচয় গোপন করে ইউনুছ শেখ ছদ্মনাম ব্যবহার করতো।
২৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে গণি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাস উদ্দিনের কক্ষে সে এই মুছলেখা দিয়ে ছাড়া পান।
চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও কোমলমতি এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুন্না বলেন, আমাদের ছেলে সন্তানটি গণি স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। সে নিয়মিত স্কুলে আসা যাওয়ার পথে তাকে নানা সময়ে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করতো এক লোক। প্রায়ই সে পথে দাঁড়িয়ে দেখে শিশু সন্তানদের তার কাছে একা আসতে বলে। আজও পানি পড়া খাওয়ার কথা বলে আমাদের সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছেলেটি ভয়ে দৌড়ে স্কুলে গিয়ে তার শিক্ষককে এসব কথা খুলে বলে। পরে স্কুল থেকে পদক্ষেপ নিয়ে এই দুঃশচরিত্র লম্পটকে এলাকাবাসীসহ কৌশলে আটক করে স্কুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদকালে আমাদের খবর দিলে আমরা স্কুলে ছুটে এসে এসব বিষয় জানতে পারি। আমরা এই লম্পট চরিত্রের লোকটির কঠোর শাস্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জানা যায়, হুমায়ন কবির ওরোফে ইউনুছ শেখ শরিয়তপুরের নরসিংহপুর এলাকার বাসিন্দা। সে চাঁদপুর শহরের সেবাসিটি সেন্টারের পাশে দোকান ভাড়া নিয়ে কম্পিউটারের দোকান পরিচালনা করে আসছে। সে ছোট ছোট কোমলমতি ছেলে হউক বা মেয়ে হউক সব ধরনের শিশু সন্তানদের দিকে অসৎ উদ্দ্যেশ্যে টার্গেট করে।
এ বিষয়ে লম্পটাপনীর কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে হুমায়ন কবির বলেন, আমি ভুল করেছি। আর কখনো এসব করবো না। আমি প্রয়োজনে এখানে আর ব্যবসাই করবো না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাঁদপুর গণি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাস উদ্দিন বলেন, অপকর্মের উদ্দ্যেশ্যে শিশু সন্তানদের টার্গেট করতো হুমায়ন কবির নামে এক দুঃশচরিত্র লম্পট। সে আমাদের স্কুলের একটি শিশু শিক্ষার্থীকে অপহরণের উদ্দ্যেশ্যে বেশকিছুদিন টার্গেট করে। পরে আজ বিষয়টি জানাজানি হলে আমি খবর পেলে তাকে এলাকাবাসীসহ তড়িৎ আটকের ব্যবস্থা করি। পরবর্তীতে তার মুছলেখা রেখে ছেড়ে দেই। তবে প্রশাসন যদি এধরণের কুরুচিপূর্ণ লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়। অবশ্যই আমি স্কুলের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।