নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩নং কল্যাণপুর ইউনিয়নের আমানউল্লাহপুর গ্রামে সম্পত্তিগত বিরোধে এক অসহায় পরিবারের বসতঘর ও রান্নাঘর এবং টয়লেট ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে এবং বসত ঘরে থাকা নগদ ২৩ হাজার টাকা লুট হয়েছে।

গত ৯ অক্টোবর রবিবার সকাল ৯টার দিকে আমানউল্লাহপুর গ্রামের মিলন খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্পত্তিগত সমস্যা নিয়ে গত মাসে মৃত- ফজল খানের পুত্র লোকমান খান, লালু খানের পুত্র লেয়াকত আলী ও ফোজদার খানের পুত্র মনির হোসেন বাদী হয়ে একই বাড়ির ও চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ শহীদ উল্যাহ খান মাষ্টার গং এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে রবিবার সকালে ভুক্তভোগীদের না জানিয়ে শহীদ উল্যাহ খান মাষ্টারের পক্ষ থেকে এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে আসেন।
এসময় ভুক্তভোগীদের দেয়া একটি শর্ত মেনে না নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লোকমান খানের স্ত্রী রান্না বান্না অবস্থায় তাদের রান্নাঘর ও বসতঘর এবং টয়লেট ভাঙচুর করেন এবং ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র উলটপালট করে নগদ ২৩ হাজার টাকা নিয়ে যান শহীদ উল্যাহ মাষ্টারের বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার সুমন খান, ভাতিজা আজম খান, হাসিম খান, কালু খান ও আজম খানের স্ত্রী ছালেহা বেগম।
প্রত্যক্ষদর্শী দেলোয়ার খান ও মরিয়ম বেগম বলেন, ঘটনারদিন সকাল ৯টার দিকে শহীদুল্লাহ্ খান মাষ্টার লোকমান খান গং এর কাউকেই না জানিয়ে তাদের পক্ষের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসার উদ্দেশ্যে আসেন। কিন্তু এসময় তাদেরকে বলা হয়েছে যে, আমাদেরকে আগে জানালে আমরাও দু চারজন লোকজন রাখতাম। এখন এক পক্ষের শালিসি দিয়ে এ সমাধান কিভাবে হবে।
এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা ঐখান থেকে এগিয়ে এসে লোকমান খানের স্ত্রী রান্না করা অবস্থায় রান্নাঘর ও বসতঘর এবং বাথরুম ভাঙচুর করে চলে যায়। ভুক্তভোগী লোকমান খান বলেন, আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে সম্পত্তিগত চলমান সমস্যা নিয়ে আমরা মামলা করি। সেই সমস্যা নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে তারা আমাদের না জানিয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আসেন। কিন্তু আমাদের পক্ষের কোন লোকজনই রাখার সুযোগ না দিলে আমাদের শর্ত ছিল যে, দুই পক্ষের উকিলের উপস্থিতিতে আমরা বসে একটি সুষ্ঠু সমাধানে আসবো। কিন্তু তারা এটা মেনে না নিয়ে একপর্যায়ে উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির মধ্যে তারা রান্না চলমান অবস্থায় আমার রান্নাঘর ও বাথরুম ভেঙে চলে যান। এবং আমার ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র উলটপালট করে ঘরে থাকা ২৩ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এর আগেও ২০১৯ সালে ফাজিল খানের ছেলে আজম খানের নেতৃত্বে আমার চাচাতো ভাই লেয়াকত খানের বসতঘর কুপিয়ে তছনছ করে দিয়েছে এবং তাকে শারীরিক নির্যাতন করে গুরুত্বর আহত করেছেন কয়েকবার। এই বিষয়ে মোঃ শহীদুল্লাহ্ খান মাষ্টারের ছেলে ডা. নজিবুল্যাহ খান বলেন দুই পক্ষের মধ্যে চলমান আমাদের এ সম্পত্তিটি একটি ভাওয়ালি সম্পদ। তাদের করা এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
আমাদের সম্পত্তির উপর তাদের স্থাপিত রান্নাঘর ও বাথরুম হওয়ায় আমাদের ভাইয়েরা তা উচ্ছেদ করে দিয়েছে। তারা এতদিন আমাদের সম্পত্তির উপর দখলে ছিলেন। আমরাও এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই।