ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লঞ্চে রুটি কলা বিক্রি করা চাঁদপুরের মালেক এখন কোটিপতি!

প্রিয় চাঁদপুর রিপোর্ট : চাঁদপুর নদী বন্দর লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় বিআইডব্লিউটির জায়গা দখল করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাওয়া কে এই মালেক।

Model Hospital

চাঁদপুর নদীবন্দরে সবাই যাকে হাজীসাহেব নামে চিনে। বন্দরে যার একক আধিপত্য চলে।কিছুদিন আগে লঞ্চে লঞ্চে রুটি কলা বিক্রি করতো। এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। অভাব এবং ধার দেনায় জর্জরিত হয়ে যখন কোন কূল পাচ্ছিল না সেসময় ভাগ্য তারপ্রতি সুপ্রসন্ন হলো। সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে লঞ্চঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন এর মালিকানাধীন কেন্টিনটি এক বছরের জন্য পরিচালনার দায়িত্ব পেল।ব্যাস,তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।অনেকসময় আবদুল মালেক গর্ব করে বলে আমি পা দিয়ে ওষ্ঠালেও টাকা আমাকে ছাড়েনা।তার মতে মালেক যা চায় তা পায়।কথাটা সত্য। এজন্য তাকে বেশী কষ্ট করতে হয় নি।মালেক জানে কোন দেবতা কি পছন্দ করে।

চাঁদপুরের ইলিশ আর নগদ টাকার বান্ডেল এই দুই জিনিসের ঘ্রাণ একত্র হলে যে কোন দেবতার আশির্ব্বাদ সহজ হয়ে যায়। এইসূত্র প্রয়োগ করে মালেক চাঁদপুর নদীবন্দর এর ষ্টাপ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা টিসি মাকসুদকে কেন্টিনের পার্টনার বানিয়ে নিলো। মাকসুদের মাধ্যমেই হাত করলো আইডব্লিওটিএ এর শ্রমিক ইউনিয়ন এর কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি সারওয়ারকে।

এবার মালেক মাকসুদ আর সারওয়ার মিলে হয়ে গেল এক সিন্ডিকেট। ভাগ্য মালেক কে এতটাই সাহায্যে করলো যে,এসময় চাঁদপুর নদীবন্দর এর পোর্ট অফিসার হিসেবে আসলেন জনাব এ,ক,এম কায়সারুল ইসলাম। এই কায়সারুল ইসলাম আবার সারোয়ার এর এলাকার লোক।কেউ কেউ বলে জনাব কায়সার এবং সারোয়ার আত্মীয় । এবার মালেক মাকসুদ যাই করুক তা জায়েজ করার দায়িত্ব জনাব কায়সার এবং সারোয়ার এর।নদীবন্দর এর বিভিন্ন ঘাট ইজারা নেয়া,সেগুলোর টাকা ঠিকমত পরিশোধ না করা,লঞ্চঘাটের জায়গা দখল করে একের পর এক দোকান বানানো।

কোনটা নিজে রাখে আবার কোনটা বিক্রি করে দেয়।নদীর জায়গা দখল করে কেন্টিন বড় করে ৭০০বর্গফুটের জায়গায় ৩০০০ বর্গফুট বানানো, কেন্টিন সংস্কার না করে নোংরা পরিবেশ তৈরি করে রাখা,কেন্টিন এর সাথে ছাগলের ঘর করা,বেশি দামে নিম্নমানের খাবার খেতে মানুষকে বাধ্য করা সবই মালেকের জন্য জায়েজ।কারণ এসব কাজের জন্য ভালো একটা কমিশন পায় জনাব সারোয়ার এবং কায়সার। ফলে মালেকেরর।

আরো পড়ুন  শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউট গ্রুপে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর উদ্বোধন 

তার বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ হলো লঞ্চঘাটে ঢুকতে হাতের বামপাশে বরিশাল হোটেল এবং তার দু’পাশে যে দোকানগুলো আছে এখানে ১১০ ফুট জায়গা জনৈক বেলায়েত এর নামে লিজ ছিল।কয়েক বছর আগে উক্ত বেলায়েত মারা গিয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী ব্যাক্তি মারা গেলে তার লিজ বাতিল হয়ে যায়।কিন্ত আব্দুল মালেক উক্ত বেলায়েত এর নামে বছর বছর টাকা জমা দিয়ে ওই ১১০ ফুট জায়গা নিজে দখল করে রেখেছে। সেখানে হোটেল এবং দোকান করে ভাড়া দিয়ে রেখেছে। তাছাড়া লঞ্চঘাট মসজিদটিও তার দখলে ছিল। কারো অনুমতি না নিয়ে আইডব্লিওটিএর নামে রশীদ ছাপিয়ে মসজিদের নাম দিয়ে চাঁদাবাজি করতো। বিষয়টি পোর্ট অফিসার জানার সাথে সাথে ব্যাবস্থা নেন এবং মসজিদের জন্য কমিটি করে দেন।অবৈধভাবে মালেকের দখলে থাকা শ্রমিক ইউনিয়ন এর মালিকানাধীন কেন্টিন টি বিগত ফেব্রুয়ারী মাস থেকে শ্রমিক ইউনিয়ন অন্য আরেকজনকে পরিচালনার দায়িত্ব দেয়।কিন্তু মালেকবাহিনী তাদেরকে কেন্টিনের কাছেও যেতে দেয় না।

ibn sina diabeties

এভাবে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ওই পক্ষ যখন কেন্টিন এর দখল পায় না তখন তারা বিষয়টি নৌমন্ত্রনালয় এবং আইডব্লিওটিএর চেয়ারম্যান, সদস্য এবং ডাইরেক্টরকে এর নিক্ট দরখাস্ত দেয়।মালেকের সব অপকর্মের খবর পেয়ে আইডব্লিওটিএর হেড অফিস পোর্ট অফিসার কায়সারুল ইসলামের কাছে ব্যাখ্যা চায়।পোর্ট অফিসার আবার শ্রমিক ইউনিয়ন এর কাছে ব্যাখ্যা চায়। এভাবে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর দোষ চাপাতে থাকে।এ পর্যায়ে হেড অফিস সব অবৈধ দোকানপাট ভেঙে মালেক কে এখান থেকে উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই মালেক এর নিকট আসার সাথে সাথে মালেক এবং মাকসুদ বুঝতে পারে কি করতে হবে।যথানিয়মে গত ১৪/৯/২০২২ তারিখে ছয় বাক্স ইলিশ মাছ আর নগদ টাকা নিয়ে ঢাকায় মালেকের গুরু সারোয়ার এর নিকট চলে যায়।সারোয়ার যেখানে যা দিতে হবে দিয়ে দেয়।ফলাফল যা হবার তাই হলো।

ইলিশ মাছের সুঘ্রাণ আর নগদ টাকা উচ্ছেদ অভিযান ঠেকিয়ে দিলো।এভাবে যতদিন মালেক মাকসুদ আর সারওয়ার এক থাকবে আর সাথে ইলিশ মাছ আর নগদ টাকার সুঘ্রান থাকবে ততদিন আব্দুল মালেক চাঁদপুর নদীবন্দরের একমাত্র দেবতা হিসেবে থাকতে পারবে।তার জন্য কোন আইন কানুনের প্রয়োজন হবেনা।আব্দুল মালেক যা বলবে তাই আইন।সে যাকে চাইবে সেই বন্দরে থাকতে পারবে।এজন্য সদ্য সাবেক পোর্ট অফিসার কায়সারুল ইসলাম বলেছিলেন -মালেকময় লঞ্চঘাট।

আরো পড়ুন  বালিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান তাজুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগের প্রমান পায়নি

বিআইডব্লিউটি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করার বিষয়ে অভিযুক্ত মালেক বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের কাছ থেকে দুই বছরের কাগজ করে মালেক হোটেল পরিচালনা করছি এছাড়া আরো তিনটি দোকান রয়েছে। সেগুলোর কোন নিজ নেই। বরিশাইল্লা হোটেল আমরা কয়েকজনে ভাড়া দিয়েছি। শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবসা পরিচালনা করছি।
লঞ্চঘাট হওয়ার শুরু থেকেই হোটেল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে এইভাবে অবৈধভাবে নদী বন্দর এলাকায় বিআইডব্লিউটির জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করে রমরমা বাণিজ্য করার ঘটনা অভিযুক্ত মালেক বেপারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানান সচেতন মহল। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান এলাকাবাসী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফের শাহরাস্তির জনতা উবি’র সভাপতি আবুল কালাম আজাদ

লঞ্চে রুটি কলা বিক্রি করা চাঁদপুরের মালেক এখন কোটিপতি!

আপডেট সময় : ০২:১৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

প্রিয় চাঁদপুর রিপোর্ট : চাঁদপুর নদী বন্দর লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় বিআইডব্লিউটির জায়গা দখল করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাওয়া কে এই মালেক।

Model Hospital

চাঁদপুর নদীবন্দরে সবাই যাকে হাজীসাহেব নামে চিনে। বন্দরে যার একক আধিপত্য চলে।কিছুদিন আগে লঞ্চে লঞ্চে রুটি কলা বিক্রি করতো। এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। অভাব এবং ধার দেনায় জর্জরিত হয়ে যখন কোন কূল পাচ্ছিল না সেসময় ভাগ্য তারপ্রতি সুপ্রসন্ন হলো। সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে লঞ্চঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন এর মালিকানাধীন কেন্টিনটি এক বছরের জন্য পরিচালনার দায়িত্ব পেল।ব্যাস,তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।অনেকসময় আবদুল মালেক গর্ব করে বলে আমি পা দিয়ে ওষ্ঠালেও টাকা আমাকে ছাড়েনা।তার মতে মালেক যা চায় তা পায়।কথাটা সত্য। এজন্য তাকে বেশী কষ্ট করতে হয় নি।মালেক জানে কোন দেবতা কি পছন্দ করে।

চাঁদপুরের ইলিশ আর নগদ টাকার বান্ডেল এই দুই জিনিসের ঘ্রাণ একত্র হলে যে কোন দেবতার আশির্ব্বাদ সহজ হয়ে যায়। এইসূত্র প্রয়োগ করে মালেক চাঁদপুর নদীবন্দর এর ষ্টাপ শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা টিসি মাকসুদকে কেন্টিনের পার্টনার বানিয়ে নিলো। মাকসুদের মাধ্যমেই হাত করলো আইডব্লিওটিএ এর শ্রমিক ইউনিয়ন এর কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি সারওয়ারকে।

এবার মালেক মাকসুদ আর সারওয়ার মিলে হয়ে গেল এক সিন্ডিকেট। ভাগ্য মালেক কে এতটাই সাহায্যে করলো যে,এসময় চাঁদপুর নদীবন্দর এর পোর্ট অফিসার হিসেবে আসলেন জনাব এ,ক,এম কায়সারুল ইসলাম। এই কায়সারুল ইসলাম আবার সারোয়ার এর এলাকার লোক।কেউ কেউ বলে জনাব কায়সার এবং সারোয়ার আত্মীয় । এবার মালেক মাকসুদ যাই করুক তা জায়েজ করার দায়িত্ব জনাব কায়সার এবং সারোয়ার এর।নদীবন্দর এর বিভিন্ন ঘাট ইজারা নেয়া,সেগুলোর টাকা ঠিকমত পরিশোধ না করা,লঞ্চঘাটের জায়গা দখল করে একের পর এক দোকান বানানো।

কোনটা নিজে রাখে আবার কোনটা বিক্রি করে দেয়।নদীর জায়গা দখল করে কেন্টিন বড় করে ৭০০বর্গফুটের জায়গায় ৩০০০ বর্গফুট বানানো, কেন্টিন সংস্কার না করে নোংরা পরিবেশ তৈরি করে রাখা,কেন্টিন এর সাথে ছাগলের ঘর করা,বেশি দামে নিম্নমানের খাবার খেতে মানুষকে বাধ্য করা সবই মালেকের জন্য জায়েজ।কারণ এসব কাজের জন্য ভালো একটা কমিশন পায় জনাব সারোয়ার এবং কায়সার। ফলে মালেকেরর।

আরো পড়ুন  তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে শিক্ষা মন্ত্রীর কম্বল বিতরণ

তার বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ হলো লঞ্চঘাটে ঢুকতে হাতের বামপাশে বরিশাল হোটেল এবং তার দু’পাশে যে দোকানগুলো আছে এখানে ১১০ ফুট জায়গা জনৈক বেলায়েত এর নামে লিজ ছিল।কয়েক বছর আগে উক্ত বেলায়েত মারা গিয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী ব্যাক্তি মারা গেলে তার লিজ বাতিল হয়ে যায়।কিন্ত আব্দুল মালেক উক্ত বেলায়েত এর নামে বছর বছর টাকা জমা দিয়ে ওই ১১০ ফুট জায়গা নিজে দখল করে রেখেছে। সেখানে হোটেল এবং দোকান করে ভাড়া দিয়ে রেখেছে। তাছাড়া লঞ্চঘাট মসজিদটিও তার দখলে ছিল। কারো অনুমতি না নিয়ে আইডব্লিওটিএর নামে রশীদ ছাপিয়ে মসজিদের নাম দিয়ে চাঁদাবাজি করতো। বিষয়টি পোর্ট অফিসার জানার সাথে সাথে ব্যাবস্থা নেন এবং মসজিদের জন্য কমিটি করে দেন।অবৈধভাবে মালেকের দখলে থাকা শ্রমিক ইউনিয়ন এর মালিকানাধীন কেন্টিন টি বিগত ফেব্রুয়ারী মাস থেকে শ্রমিক ইউনিয়ন অন্য আরেকজনকে পরিচালনার দায়িত্ব দেয়।কিন্তু মালেকবাহিনী তাদেরকে কেন্টিনের কাছেও যেতে দেয় না।

ibn sina diabeties

এভাবে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ওই পক্ষ যখন কেন্টিন এর দখল পায় না তখন তারা বিষয়টি নৌমন্ত্রনালয় এবং আইডব্লিওটিএর চেয়ারম্যান, সদস্য এবং ডাইরেক্টরকে এর নিক্ট দরখাস্ত দেয়।মালেকের সব অপকর্মের খবর পেয়ে আইডব্লিওটিএর হেড অফিস পোর্ট অফিসার কায়সারুল ইসলামের কাছে ব্যাখ্যা চায়।পোর্ট অফিসার আবার শ্রমিক ইউনিয়ন এর কাছে ব্যাখ্যা চায়। এভাবে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর দোষ চাপাতে থাকে।এ পর্যায়ে হেড অফিস সব অবৈধ দোকানপাট ভেঙে মালেক কে এখান থেকে উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই মালেক এর নিকট আসার সাথে সাথে মালেক এবং মাকসুদ বুঝতে পারে কি করতে হবে।যথানিয়মে গত ১৪/৯/২০২২ তারিখে ছয় বাক্স ইলিশ মাছ আর নগদ টাকা নিয়ে ঢাকায় মালেকের গুরু সারোয়ার এর নিকট চলে যায়।সারোয়ার যেখানে যা দিতে হবে দিয়ে দেয়।ফলাফল যা হবার তাই হলো।

ইলিশ মাছের সুঘ্রাণ আর নগদ টাকা উচ্ছেদ অভিযান ঠেকিয়ে দিলো।এভাবে যতদিন মালেক মাকসুদ আর সারওয়ার এক থাকবে আর সাথে ইলিশ মাছ আর নগদ টাকার সুঘ্রান থাকবে ততদিন আব্দুল মালেক চাঁদপুর নদীবন্দরের একমাত্র দেবতা হিসেবে থাকতে পারবে।তার জন্য কোন আইন কানুনের প্রয়োজন হবেনা।আব্দুল মালেক যা বলবে তাই আইন।সে যাকে চাইবে সেই বন্দরে থাকতে পারবে।এজন্য সদ্য সাবেক পোর্ট অফিসার কায়সারুল ইসলাম বলেছিলেন -মালেকময় লঞ্চঘাট।

আরো পড়ুন  মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জম্মদিনে কেককাটা ও আলোচনা সভা

বিআইডব্লিউটি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করার বিষয়ে অভিযুক্ত মালেক বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের কাছ থেকে দুই বছরের কাগজ করে মালেক হোটেল পরিচালনা করছি এছাড়া আরো তিনটি দোকান রয়েছে। সেগুলোর কোন নিজ নেই। বরিশাইল্লা হোটেল আমরা কয়েকজনে ভাড়া দিয়েছি। শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবসা পরিচালনা করছি।
লঞ্চঘাট হওয়ার শুরু থেকেই হোটেল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে এইভাবে অবৈধভাবে নদী বন্দর এলাকায় বিআইডব্লিউটির জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করে রমরমা বাণিজ্য করার ঘটনা অভিযুক্ত মালেক বেপারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানান সচেতন মহল। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান এলাকাবাসী।