ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে ন্যায্য মূল্যের চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁদপুর সদর উপজেলার ৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে ন্যায্য মূল্যের চাউল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার ৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়ন কাশিমবাজার এলাকায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুলভ মূল্যে কার্ডধারীদের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাউল বিক্রি করা হয়। তবে কেজি প্রতি ১৫ টাকা করে ৩০ কেজি চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও ২৫ থেকে ২৬ কেজি করে চাউল দেওয়া হচ্ছে কার্ডধারীদেরকে।
সরজমিনে গিয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, কেজি প্রতি ১৫ টাকা করে ৩০ কেজি চাউলের জন্য ৪৫০টাকা জমা নিয়ে দেওয়া হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ কেজি চাউল। এছাড়াও লেবার খরচের কথা বলে প্রতি কার্ডধারী থেকে অতিরিক্ত ২০ টাকা করে নিচ্ছেন ন্যায্য মূল্যে চাউল বিক্রির ডিলার আনোয়ার হোসেন ছৈয়াল (আনু ছৈয়াল)।
১৫ টাকা কেজি ধরে চাউল ন্যায্য মূল্যের কার্ড দাড়ী মোহাম্মদ আলী হোসেন গাজী, মাসুদ খান, ইদ্রিস ঢালী জানান, আমরা অসহায় মানুষ, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে উপহার হিসেবে ন্যায্যমূল্যের কার্ড দিয়েছেন। আমাদেরকে ১৫ টাকা করে কেজি ধরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। ডিলার আমাদের কাছ থেকে ১৫ টাকা করে ৩০ কেজি চাউলের টাকা নিচ্ছেন। সব সময় কার্ড নিয়ে ডিলারের কাছ থেকে চাউল আনতে গেলে তিনি তাড়াহুড়া করে আমাদেরকে চাউল দিয়ে বিদায় করে দেন। উনি চাউল ওজন করে আমাদেরকে দেন না। চাউলগুলো আগেই প্যাকেট করা থাকে। আমরা গেলে স্বাক্ষর রেখে প্যাকেট ভরিয়ে দেন। ওজন করার কথা বললে উনি আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। তাছাড়াও লেবার খরচের কথা বলে অতিরিক্ত ২০ টাকা করে নেন।
ন্যায্য মূল্যের কার্ড দাড়ী মোহাম্মদ আলী হোসেন গাজী বলেন, ডিলার আনু ছৈয়াল ওজন করা ছাড়া চাউলের বস্তা দিলে আমি বাহিরে এসে একটি মুদি দোকানে চাউল ওজন করি। তাতে ৩০ কেজি চাউলের জায়গায় ২৫ কেজি ১০০ গ্রাম চাউল পাই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য ৩০ কেজি চাল দিচ্ছে। কিন্তু ডিলার আমাদেরকে চাল কম দিচ্ছেন কেন। এটা আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ৩০ কেজি চাউলের টাকা নিয়ে আমাদেরকে যেন আমাদের পাওনাটা বুঝিয়ে দেন।
এ বিষয়ে তরপুরচন্ডী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার কাছেও এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাবো। যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সঠিকভাবে বন্টন করা হয়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিঃদাঃ) ফাহমিদা হক বলেন, ন্যায্য মূল্যের চাউল অবশ্যই ওজন করে বিক্রি করতে হবে। যদি কোন ডিলার চাউল বিক্রির সময় ওজন করার মেশিন না রাখে তাহলে বুঝতে হবে সেখানে কোন ঝামেলা আছে। তাই ডিলাররা চাউল বিক্রি ন্যায্য মূল্যের চাল বিক্রিতে অনিয়মওজন করেই করতে হবে, সেটা বাধ্যতামূলক। তবে অভিযোগের বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব। অভিযোগের সততা পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ন্যায্য মূল্যে চাউল বিক্রির ডিলার আনোয়ার হোসেন আনু ছৈয়াল বলেন, আমরা চাউল কম দেই না। বস্তায় চাউল কম থাকলে সেটা সিএসডি গোডাউনের দায়।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ,পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট

তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে ন্যায্য মূল্যের চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:১২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁদপুর সদর উপজেলার ৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে ন্যায্য মূল্যের চাউল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার ৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়ন কাশিমবাজার এলাকায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুলভ মূল্যে কার্ডধারীদের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাউল বিক্রি করা হয়। তবে কেজি প্রতি ১৫ টাকা করে ৩০ কেজি চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও ২৫ থেকে ২৬ কেজি করে চাউল দেওয়া হচ্ছে কার্ডধারীদেরকে।
সরজমিনে গিয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, কেজি প্রতি ১৫ টাকা করে ৩০ কেজি চাউলের জন্য ৪৫০টাকা জমা নিয়ে দেওয়া হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ কেজি চাউল। এছাড়াও লেবার খরচের কথা বলে প্রতি কার্ডধারী থেকে অতিরিক্ত ২০ টাকা করে নিচ্ছেন ন্যায্য মূল্যে চাউল বিক্রির ডিলার আনোয়ার হোসেন ছৈয়াল (আনু ছৈয়াল)।
১৫ টাকা কেজি ধরে চাউল ন্যায্য মূল্যের কার্ড দাড়ী মোহাম্মদ আলী হোসেন গাজী, মাসুদ খান, ইদ্রিস ঢালী জানান, আমরা অসহায় মানুষ, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে উপহার হিসেবে ন্যায্যমূল্যের কার্ড দিয়েছেন। আমাদেরকে ১৫ টাকা করে কেজি ধরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। ডিলার আমাদের কাছ থেকে ১৫ টাকা করে ৩০ কেজি চাউলের টাকা নিচ্ছেন। সব সময় কার্ড নিয়ে ডিলারের কাছ থেকে চাউল আনতে গেলে তিনি তাড়াহুড়া করে আমাদেরকে চাউল দিয়ে বিদায় করে দেন। উনি চাউল ওজন করে আমাদেরকে দেন না। চাউলগুলো আগেই প্যাকেট করা থাকে। আমরা গেলে স্বাক্ষর রেখে প্যাকেট ভরিয়ে দেন। ওজন করার কথা বললে উনি আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। তাছাড়াও লেবার খরচের কথা বলে অতিরিক্ত ২০ টাকা করে নেন।
ন্যায্য মূল্যের কার্ড দাড়ী মোহাম্মদ আলী হোসেন গাজী বলেন, ডিলার আনু ছৈয়াল ওজন করা ছাড়া চাউলের বস্তা দিলে আমি বাহিরে এসে একটি মুদি দোকানে চাউল ওজন করি। তাতে ৩০ কেজি চাউলের জায়গায় ২৫ কেজি ১০০ গ্রাম চাউল পাই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য ৩০ কেজি চাল দিচ্ছে। কিন্তু ডিলার আমাদেরকে চাল কম দিচ্ছেন কেন। এটা আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ৩০ কেজি চাউলের টাকা নিয়ে আমাদেরকে যেন আমাদের পাওনাটা বুঝিয়ে দেন।
এ বিষয়ে তরপুরচন্ডী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার কাছেও এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাবো। যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সঠিকভাবে বন্টন করা হয়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিঃদাঃ) ফাহমিদা হক বলেন, ন্যায্য মূল্যের চাউল অবশ্যই ওজন করে বিক্রি করতে হবে। যদি কোন ডিলার চাউল বিক্রির সময় ওজন করার মেশিন না রাখে তাহলে বুঝতে হবে সেখানে কোন ঝামেলা আছে। তাই ডিলাররা চাউল বিক্রি ন্যায্য মূল্যের চাল বিক্রিতে অনিয়মওজন করেই করতে হবে, সেটা বাধ্যতামূলক। তবে অভিযোগের বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব। অভিযোগের সততা পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ন্যায্য মূল্যে চাউল বিক্রির ডিলার আনোয়ার হোসেন আনু ছৈয়াল বলেন, আমরা চাউল কম দেই না। বস্তায় চাউল কম থাকলে সেটা সিএসডি গোডাউনের দায়।