ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শীতের সবজিতে বর্ণিল খেত

মতলব উত্তরে তরকারি ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষীরা।

মনিরুল ইসলাম মনির : শীত এসে কড়া নাড়ছে দরজায়। আর এই সময়টা মূলত শীতকালীন সবজি চাষের সঠিক সময়। তাই মতলব উত্তরের বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেক কৃষকের খেত লাল-সবুজের রূপ নিয়েছে।

Model Hospital

শীতের শুরুতে এলাকার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আশপাশের এলাকাগুলোতেও বিভিন্ন জাতের সবজি পাঠান মতলব উত্তরের কৃষকেরা। সেই লক্ষ্যে প্রতিদিন ভোরে কোদাল, বালতি, স্প্রে মেশিন নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। বিকেল অবধি মাঠে থেকে চারার গোড়ায় পানি ঢেলে সবাই বাড়ি ফিরছেন। তাঁদের কেউ দাঁড়িয়ে কোদাল চালাচ্ছেন, আবার কেউ গাছের গোড়ার আগাছা তুলছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এই কৃষকের মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, বেগুন, মুলা, টমেটো, করলা, পটোল, মুলাশাক, পালংশাক ও লালশাকসহ অনেক রকমের শীতকালীন সবজির চারা। এ ছাড়া কিছু সংখ্যক কৃষক আগাম সবজি চারা রোপণ করায় এখন ফসল তুলে বাজারে বিক্রয় করে অধিক মুনাফা অর্জন করছেন।

হানিরপাড় এলাকার মাহবুব বলেন, শীতকালীন সবজি তুলনামূলকভাবে কম সময়ে বাজারে তোলা যায়। নিয়মিত বিক্রি করা যায়। কমবেশি যাই হোক, হাতে নিয়মিত টাকা আসে। তা দিয়ে সংসারের খরচ জোগানো সহজ হয়। এ ছাড়া পরিবারের খাবারের চাহিদা মেটানো যায়।

পালালোকদি এলাকার হাশেম বলেন, ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষের জন্য জৈব সার দিয়ে আমার সাড়ে সাত শতাংশ জমি প্রস্তুত করেছি। কিছুদিন আগে বীজ বপন করেছি। আগামী দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে আমার জমির ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে পাঠানো যাবে বলে আশা করছি।

আদুরভিটি এলাকার কৃষক নুরনবী বলেন, পূর্ব পুরুষ থেকেই আমরা শীতকালীন শাক-সবজির চাষ করে আসছি। সবজি চাষের জন্য আমাদের খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলকভাবে মূলধনও কম লাগে। তবে পরিশ্রমটা একটু বেশিই করতে হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প এলাকাসহ চরাঞ্চলে ব্যাপক হারে তরকারি চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসারগন তদারকিসহ পরামর্শ প্রদান করছে।

ট্যাগস :

শাহরাস্তিতে পিকআপ ভ্যান ও সিএনজি স্কুটারের সংঘর্ষে ২জন নিহত

শীতের সবজিতে বর্ণিল খেত

আপডেট সময় : ০২:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

মনিরুল ইসলাম মনির : শীত এসে কড়া নাড়ছে দরজায়। আর এই সময়টা মূলত শীতকালীন সবজি চাষের সঠিক সময়। তাই মতলব উত্তরের বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেক কৃষকের খেত লাল-সবুজের রূপ নিয়েছে।

Model Hospital

শীতের শুরুতে এলাকার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আশপাশের এলাকাগুলোতেও বিভিন্ন জাতের সবজি পাঠান মতলব উত্তরের কৃষকেরা। সেই লক্ষ্যে প্রতিদিন ভোরে কোদাল, বালতি, স্প্রে মেশিন নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। বিকেল অবধি মাঠে থেকে চারার গোড়ায় পানি ঢেলে সবাই বাড়ি ফিরছেন। তাঁদের কেউ দাঁড়িয়ে কোদাল চালাচ্ছেন, আবার কেউ গাছের গোড়ার আগাছা তুলছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এই কৃষকের মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, বেগুন, মুলা, টমেটো, করলা, পটোল, মুলাশাক, পালংশাক ও লালশাকসহ অনেক রকমের শীতকালীন সবজির চারা। এ ছাড়া কিছু সংখ্যক কৃষক আগাম সবজি চারা রোপণ করায় এখন ফসল তুলে বাজারে বিক্রয় করে অধিক মুনাফা অর্জন করছেন।

হানিরপাড় এলাকার মাহবুব বলেন, শীতকালীন সবজি তুলনামূলকভাবে কম সময়ে বাজারে তোলা যায়। নিয়মিত বিক্রি করা যায়। কমবেশি যাই হোক, হাতে নিয়মিত টাকা আসে। তা দিয়ে সংসারের খরচ জোগানো সহজ হয়। এ ছাড়া পরিবারের খাবারের চাহিদা মেটানো যায়।

পালালোকদি এলাকার হাশেম বলেন, ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষের জন্য জৈব সার দিয়ে আমার সাড়ে সাত শতাংশ জমি প্রস্তুত করেছি। কিছুদিন আগে বীজ বপন করেছি। আগামী দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে আমার জমির ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারে পাঠানো যাবে বলে আশা করছি।

আদুরভিটি এলাকার কৃষক নুরনবী বলেন, পূর্ব পুরুষ থেকেই আমরা শীতকালীন শাক-সবজির চাষ করে আসছি। সবজি চাষের জন্য আমাদের খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলকভাবে মূলধনও কম লাগে। তবে পরিশ্রমটা একটু বেশিই করতে হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প এলাকাসহ চরাঞ্চলে ব্যাপক হারে তরকারি চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসারগন তদারকিসহ পরামর্শ প্রদান করছে।