ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হাজীগঞ্জে সিএনজিতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে স্বর্ণালংকার হারিয়ে নিঃস্ব যাত্রী

মাসুদ হোসেন : চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে বেপরোয়াভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অজ্ঞান ও মলম পার্টি। গত কয়েকদিন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন অনেকে। গণপরিবহনে যাত্রী সেজে চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার করে চিন্তায় সহ লুট করে নিচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের সব কিছু। এ সুযোগ কে কাজে লাগাচ্ছে বাস ও সিএনজি সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে। সহজ-সরল মানুষকে লক্ষ্য করে এ কাজ করছে। মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের রাড়া পাটওয়ারী বাড়ির এমরান পাটওয়ারীর স্ত্রী কুহিনূর বেগম ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন হাজীগঞ্জ শাহমিরান হাসপাতালে। ডাক্তার দেখিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে হাসপাতালের সামনে থেকে একটি সিএনজিতে উঠেন। কিছুদূর যাওয়ার পর টোরাঘর এলাকায় সিএনজিতে থাকা পাশে বসা এক হুজুর কুহিনূর বেগমকে বলেন যে, আমি জৈনপুর হুজুরের নাতি। আপনি কোথায় যাবেন। আপনার কাছে বিশ টাকা আছে কিনা, থাকলে আমাকে দেন। এসময় কুহিনূর বেগম তাকে বিশ টাকা দিলে সে টাকা না নিয়ে ফেরত দিয়ে দেন এবং একটি কাগজ মুড়িয়ে দিয়ে বলেন এটা যেন খুলে।
এর একটু পড়েই ঐ নারীর কাছ থেকে জানতে চান তার কাছে কি কি আছে। এই নারীর পড়নে থাকা স্বর্ণের গলার চেইন ও কানের দূলের কথা জানালে ঐ প্রতারককে দিয়ে দিতে বলেন এবং দিয়েও দেন। আলীগঞ্জ আসলে তারা ঐ নারীকে নামিয়ে দিলে তিনি নিজে নিজেই জ্ঞানহীনভাবে তার বাবার বাড়ি চলে যান এবং দুপুর ২টার দিকে কিছুটা জ্ঞান ফিরলে বুঝতে পারেন তার স্বর্ণালংকার হারানোর কথা। ভুক্তভোগী কুহিনূর বেগম বলেন, আমি ডাক্তার দেখিয়ে সিএনজিতে উঠার পর হুজুরসহ আরো দুইজন যুবক আমাকে বিভিন্ন কথা বলে অচেতন করে ফেলেন। এবং আমার কাছে থাকা সকল স্বর্ণালংকার নিয়ে যান। এদিকে অসহায় এই নারী সবকিছু হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগীসহ এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণ।
ট্যাগস :

শাহরাস্তিতে পিকআপ ভ্যান ও সিএনজি স্কুটারের সংঘর্ষে ২জন নিহত

হাজীগঞ্জে সিএনজিতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে স্বর্ণালংকার হারিয়ে নিঃস্ব যাত্রী

আপডেট সময় : ০৪:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
মাসুদ হোসেন : চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে বেপরোয়াভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অজ্ঞান ও মলম পার্টি। গত কয়েকদিন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন অনেকে। গণপরিবহনে যাত্রী সেজে চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার করে চিন্তায় সহ লুট করে নিচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের সব কিছু। এ সুযোগ কে কাজে লাগাচ্ছে বাস ও সিএনজি সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে। সহজ-সরল মানুষকে লক্ষ্য করে এ কাজ করছে। মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের রাড়া পাটওয়ারী বাড়ির এমরান পাটওয়ারীর স্ত্রী কুহিনূর বেগম ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন হাজীগঞ্জ শাহমিরান হাসপাতালে। ডাক্তার দেখিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে হাসপাতালের সামনে থেকে একটি সিএনজিতে উঠেন। কিছুদূর যাওয়ার পর টোরাঘর এলাকায় সিএনজিতে থাকা পাশে বসা এক হুজুর কুহিনূর বেগমকে বলেন যে, আমি জৈনপুর হুজুরের নাতি। আপনি কোথায় যাবেন। আপনার কাছে বিশ টাকা আছে কিনা, থাকলে আমাকে দেন। এসময় কুহিনূর বেগম তাকে বিশ টাকা দিলে সে টাকা না নিয়ে ফেরত দিয়ে দেন এবং একটি কাগজ মুড়িয়ে দিয়ে বলেন এটা যেন খুলে।
এর একটু পড়েই ঐ নারীর কাছ থেকে জানতে চান তার কাছে কি কি আছে। এই নারীর পড়নে থাকা স্বর্ণের গলার চেইন ও কানের দূলের কথা জানালে ঐ প্রতারককে দিয়ে দিতে বলেন এবং দিয়েও দেন। আলীগঞ্জ আসলে তারা ঐ নারীকে নামিয়ে দিলে তিনি নিজে নিজেই জ্ঞানহীনভাবে তার বাবার বাড়ি চলে যান এবং দুপুর ২টার দিকে কিছুটা জ্ঞান ফিরলে বুঝতে পারেন তার স্বর্ণালংকার হারানোর কথা। ভুক্তভোগী কুহিনূর বেগম বলেন, আমি ডাক্তার দেখিয়ে সিএনজিতে উঠার পর হুজুরসহ আরো দুইজন যুবক আমাকে বিভিন্ন কথা বলে অচেতন করে ফেলেন। এবং আমার কাছে থাকা সকল স্বর্ণালংকার নিয়ে যান। এদিকে অসহায় এই নারী সবকিছু হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগীসহ এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণ।