বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে সরকারি বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ঘাটতি থাকায় ১টি হাসপাতাল ও ১টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে (৩০-আগস্ট) উপজেলার শাহরাস্তি মেহার কালীবাড়ি উত্তর বাজারের সেন্ট্রাল ডায়গনস্টিক সেন্টার এন্ড কনসান্টেশন সেন্টার এবং উপজেলার লোটরা বাজারের সাফি হেলথ ডক্টর’স সেন্টারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে এবং উপজেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য প্রশাসনের অভিযানে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিলগালা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি জাতীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে দেশব্যাপী ত্রুটিপূর্ণ কাগজপত্র এবং অবৈধ ও নিয়মবহির্ভূতভাবে গড়ে ওঠা হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে যে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, তারই অংশ হিসেবে শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনা করে।
ওইদিন শাহরাস্তি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: আমজাদ হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ ডা: নাসির উদ্দিন, শাহরাস্তি পুলিশ প্রশাসন সরেজমিনে প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করে দেন।
বন্ধ হওয়া হাসপাতাল ও ডায়গোনিস্ট সেন্টার সেন্টারগুলো হচ্ছে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন সেন্ট্রাল ডায়গনস্টিক সেন্টার এন্ড কনসান্টেশন সেন্টার, উপজেলা লোটরা বাজারে সাফি হেলথ ডক্টর’স সেন্টারে এ অভিযান পরিচালনা করার সময় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পাশাপাশি শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন,ডাঃ সারোয়ার ও ডাঃ মামুন সেন্যাটারি ইন্সপেক্টর মোঃ ফায়দুল্যাহ মিঞা শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, অত্র উপজেলায় প্রায় ১০ টি প্রাইভেট হাসপাতাল এবং ১৭ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যেই ৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্রথম দফায় ক্রুটিপূর্ণ কাগজপত্রের ঘাটতির দরুন সিলগালা করা হল। এই প্রসঙ্গে শাহরাস্তি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: আমজাদ হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ ডা: নাসির উদ্দিন বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বিধি বহির্ভূতভাবে গড়ে ওঠা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।এদিকে সিলগালা হওয়া হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকগণ বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে তাদের আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার হয়েছে। একই দিন বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভোক্তা ও সংরক্ষণ অধিকার আইনের ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় একটি বেকারিকে ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।