ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতলব দক্ষিণে পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজগৃহে অগ্নিসংযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজ গৃহে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।কচুয়া-মতলবেরসীমান্তবর্তী এলাকা টেমাই গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

Model Hospital

সরেজমিনে গেলে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২নং নায়েরগাঁও ইউনিয়নের টেমাই গ্রামেরমাধব গোসাই বাড়ির নিতাই চন্দ্র ভৌমিক ও নিমাই চন্দ্র ভৌমিক জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে ৬ আগস্ট শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় একই বাড়ির রগু চন্দ্র ভৌমিকের ছেলে মনোরঞ্জন চন্দ্র ভৌমিক, চন্দন ভৌমিক, বিধু চন্দ্র ভৌমিক ও তার মেয়ে রূপালী চন্দ্র ভৌমিক পরিকল্পিতভাবে মনোরঞ্জনের নিজ বসত গৃহে অগ্নিসংযোগ করে। টের পেয়ে একই বাড়ির নিতাই, নিমাই ও নারায়ন চন্দ্র ভৌমিক বাড়ির অনান্যদের সহযোগীতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

নিতাই চন্দ্র ভৌমিক আরো জানান, মাসখানেক পূর্বে আমার স্ত্রী শান্তি রাণী ভৌমিক ও মেয়ে পূজা রাণী ভৌমিক দুর্গাপুর রথ উৎসবে যোগ দেয়। সেখানে রগু চন্দ্র ভৌমিকের ৩ ছেলের সহায়তায় তাদের আত্মীয় হাজীগঞ্জ উপজেলাররাজারগাঁও গ্রামের রাজাবাড়ীর রঙ্গলাল সরকারের ছেলে সবুজ সরকার রথ মেলা থেকে আমার মেয়েকে অপহরন করে নিয়ে যায়। প্রায় এক মাস পর মতলব উত্তর ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করি।

গত ৬ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় চন্দন ভৌমিক ও তার স্ত্রী আমার মেয়েকে পুনরায় অপহরণের উদ্দেশ্যে তাদের ঘরে নিয়ে আটকিয়ে রাখে। পরে অনেকখোঁজা-খুঁজিপর বাড়ীর অনান্যদের সহায়তায় চন্দন ভৌমিকের ঘর থেকে আমার মেয়ে পূজাকে সজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে চন্দন ভৌমিক আমার ভাই নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিককে চুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।বর্তমানে সে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা অপহরন ও মারামারির ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নিজেরাই নিজেদের বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ করে আমাদেরকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

ছুড়িকাঘাত ও মারধরের ঘটনায় পূজার মা শান্তি ভৌমিক বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিবাদী মনোরঞ্জন ভৌমিক জানান, ঘটনার দিন রাতে নিতাই গংরা আমার গৃহে অগ্নি সংযোগসহ ছোট ভাই চন্দন, তার স্ত্রী সাথী,ছেলে আহিরও মা তুলশী রাণী ভৌমিককে মারধর করে আহত করে।বর্তমানে তারা চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় শান্তি ভঙ্গের আশংকা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান,শান্তি রানী ভৌমিকের অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলে, জীবন ও জীবিকার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে : ডিসি মোহসীন উদ্দিন

মতলব দক্ষিণে পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজগৃহে অগ্নিসংযোগ

আপডেট সময় : ০৪:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজ গৃহে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।কচুয়া-মতলবেরসীমান্তবর্তী এলাকা টেমাই গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

Model Hospital

সরেজমিনে গেলে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২নং নায়েরগাঁও ইউনিয়নের টেমাই গ্রামেরমাধব গোসাই বাড়ির নিতাই চন্দ্র ভৌমিক ও নিমাই চন্দ্র ভৌমিক জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে ৬ আগস্ট শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় একই বাড়ির রগু চন্দ্র ভৌমিকের ছেলে মনোরঞ্জন চন্দ্র ভৌমিক, চন্দন ভৌমিক, বিধু চন্দ্র ভৌমিক ও তার মেয়ে রূপালী চন্দ্র ভৌমিক পরিকল্পিতভাবে মনোরঞ্জনের নিজ বসত গৃহে অগ্নিসংযোগ করে। টের পেয়ে একই বাড়ির নিতাই, নিমাই ও নারায়ন চন্দ্র ভৌমিক বাড়ির অনান্যদের সহযোগীতায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

নিতাই চন্দ্র ভৌমিক আরো জানান, মাসখানেক পূর্বে আমার স্ত্রী শান্তি রাণী ভৌমিক ও মেয়ে পূজা রাণী ভৌমিক দুর্গাপুর রথ উৎসবে যোগ দেয়। সেখানে রগু চন্দ্র ভৌমিকের ৩ ছেলের সহায়তায় তাদের আত্মীয় হাজীগঞ্জ উপজেলাররাজারগাঁও গ্রামের রাজাবাড়ীর রঙ্গলাল সরকারের ছেলে সবুজ সরকার রথ মেলা থেকে আমার মেয়েকে অপহরন করে নিয়ে যায়। প্রায় এক মাস পর মতলব উত্তর ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করি।

গত ৬ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় চন্দন ভৌমিক ও তার স্ত্রী আমার মেয়েকে পুনরায় অপহরণের উদ্দেশ্যে তাদের ঘরে নিয়ে আটকিয়ে রাখে। পরে অনেকখোঁজা-খুঁজিপর বাড়ীর অনান্যদের সহায়তায় চন্দন ভৌমিকের ঘর থেকে আমার মেয়ে পূজাকে সজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে চন্দন ভৌমিক আমার ভাই নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিককে চুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।বর্তমানে সে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা অপহরন ও মারামারির ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নিজেরাই নিজেদের বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ করে আমাদেরকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

ছুড়িকাঘাত ও মারধরের ঘটনায় পূজার মা শান্তি ভৌমিক বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিবাদী মনোরঞ্জন ভৌমিক জানান, ঘটনার দিন রাতে নিতাই গংরা আমার গৃহে অগ্নি সংযোগসহ ছোট ভাই চন্দন, তার স্ত্রী সাথী,ছেলে আহিরও মা তুলশী রাণী ভৌমিককে মারধর করে আহত করে।বর্তমানে তারা চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় শান্তি ভঙ্গের আশংকা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান,শান্তি রানী ভৌমিকের অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।