মোঃ রাছেল : আষাঢ়-শ্রাবন দুই মাস বর্ষাকাল। বর্ষার ভরা মৌসুমে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ বৃষ্টির দেখা মিলছেনা।
গত কয়েকদিন সামান্য বৃষ্টি হলেও জমিতে পানি জমেনি। পানি না থাকায় বোনা আমন নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা। অনেকে জমিতে পানি সেচ দিচ্ছে। এতে যোগ হয়েছে বাড়তি খরচের চিন্তা। বিদ্যুৎ এই আসে এই যায়, আবার লোডশেডিং। বিদ্যুতের উপর নির্ভশীল সেচেও ভরসা পাচ্ছে না কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় বোনা আমন ধান৫ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। তবে ধান হবে কিনা এ নিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
কৃষক দরিয়া হয়াতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, পালাখাল গ্রামের মোস্তাফা কামাল, সাচার গ্রামের রফিকুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছর বোনা আমন ধান চাষাবাদ হলেও ফসলি জমিতে নেই কোনো পানি। কয়েকদিন চিটে ফোঁটা বৃষ্টি হলেও জমিতে পানি জমেনি। প্রচন্ড তাপ দাহ যাহা বোনা আমন ধানের জন্য সহনীয় নয়। তাছাড়া ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধিতে বেড়েছে বাড়তি খরচ। ধানের দাম না বাড়লে লোকশান গুনতে হবে । এতসব প্রতিকূলতার মধ্যে বোনা আমনের আবাদের ফসল ঘরে উঠানো আদৌ সম্ভব হবে কিনা এই সন্দেহের দোলা চলে দুলছে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, চলতি বছর অনেক কৃষকই বোনা আমন চাষে আগ্রহী হয়েছে। কিন্তু এ ফসল পানির ওপর নির্ভরশীল। এখন বর্ষা মৌসুম হওয়া সত্বেও আশানুরূপ বৃষ্টির দেখা মিলছে না। এতে কৃষকদের কাঙ্খিত ফসল পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।