মতলব উত্তর প্রতিনিধি : মতলব উত্তর উপজেলায় জনবল সংকটের কারণে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।
এ উপজেলায় ১৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে পাঁচজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র তিনজন। ফলে বিদ্যালয় মনিটরিং, সময়মতো শিক্ষকদের উপস্থিতি, পাঠদান ও শিক্ষার মান উন্নয়নসহ সার্বিক বিষয়ে খবরা-খবর নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া ৫২টি প্রধান শিক্ষক ও ৫৩টি সহকারি শিক্ষক পদ শূণ্য রয়েছে। অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার ম্রদ্রাক্ষরিক ও অফিস সহায়ক পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য রয়েছে। এছাড়া ১৮০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২০টি বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী রয়েছে। ৬০টি বিদ্যালয়ে নেই দপ্তরী কাম প্রহরী।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা মিলিয়ে ১৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয় দেখভালের দায়িত্বে উপজেলা শিক্ষা অফিসে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পাঁচটি পদ থাকলেও বর্তমানে আছেন মাত্র তিনজন। তিনজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দিয়ে নিয়মিত পরিদর্শন, খোঁজ-খবর নেওয়া কোনোমতেই সম্ভব হচ্ছে না।
বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষকদের সময়মতো উপস্থিতি, শিক্ষার্থীদের পাঠদান, মনিটরিং ও দেখভালের দায়িত্ব উপজেলা শিক্ষা অফিসের থাকলেও দুইটি পদ শূন্য থাকায় সার্বিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ছে। অফিসিয়াল নানা কার্যক্রম ও সরকারি বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পর বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় থাকছে না।
সরেজমিনে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়সমূহে চাহিদামতো শিক্ষক না থাকা একটি বড় সমস্যা। সাত জনের স্থলে আছেন পাঁচ থেকে ছয়জন শিক্ষক। তা ছাড়া ৫২টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য হওয়ায় ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে উপজেলার সার্বিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন।
মতলব উত্তর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আহসানুজ্জামান বলেন, উপজেলার ১৮০টি বিদ্যালয়ের জন্য যেখানে পাঁচজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা প্রয়োজন সেখানে তিনজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দিয়েই দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। তারপরও দাপ্তরিক নানা কার্যক্রমের পাশাপাশি বিদ্যালয়সমূহ দেখভাল করা হচ্ছে।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান বলেন, আসলে একজন শিক্ষা কর্মকর্তা ও তিনজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পক্ষে সকল দায়দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া খুবই দুরূহ ব্যাপার। তারপরও পাঠদানসহ শিক্ষার উন্নয়নে যথাসাধ্য কাজ করছেন।