ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকাকরণ চায় এলাকাবাসী; রুহিতারপাড় গ্রামের রাস্তা বেহাল, চলাচলে দুর্ভোগ

মনিরুল ইসলাম মনির : মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার উত্তর ব্যাসদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরীর বাড়ি হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন যাবৎ। বেহাল অবস্থার কারণে চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কটি পাকাকরণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

Model Hospital

সরজমিনে দেখা যায়, ছেংগারচর পৌরসভার রুহিতারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাকা সড়ক মোড় থেকে আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী বাড়ি হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কটি খানাখন্দে ভরা। গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হাটাও মুশকিল।

উত্তরপাড়া পাকা সড়ক থেকে আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী বাড়ি পর্যন্ত গত ২০১১ সালে আরসিসি পাকা হলেও বর্তমানে তা ভেঙ্গে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সকাল বিকাল পথচারী, ছাত্র/ছাত্রী ও মুসল্লিদের যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। চৌধুরী বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার এখনো কাঁচা রয়ে গেছে। বর্ষাকাল আসলে ওই সড়ক দিয়ে পায়ে হাটা ও চলাচল একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। তারপর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যন্ত হেরিংবোন বন্ড করা আছে। তবে গত ১০ বছর ধরে সংস্কার না থাকায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি।

রুহিতারপাড় গ্রামবাসী ও ছাত্র/ছাত্রীরা বলেন, আমাদের এই গ্রামটি অনেক বড় গ্রাম, ভোটার বেশি। এই গ্রামে ৭ টি সমাজ রয়েছে, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ আরো অনেক গুরুত্বপর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু সকল প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজারে যাওয়ার এই একটি মাত্র সড়ক। প্রায় ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটি বিগত ১০ বছর ধরে কোন সংস্কার হচ্ছে না। বর্তমানে আমাদের চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে অনেক সমস্যা হয়। আমাদের এই ভোগান্তি লাঘব হতে দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবী জানাচ্ছি।

স্থানীয় এলাকার জহিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমাদের এই সড়কটির অর্ধেকাংশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ২০১১ সালে একবার আরসিসি পাকা হয়েছিল। তারপর থেকে আর সংস্কার হয়নি। বর্তমানে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। বর্তমান সরকার দেশে অনেক উন্নয়ন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি পাকাকরণ হলে আমরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবো। পাশাপাশি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।

ট্যাগস :

চাঁদপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভা

পাকাকরণ চায় এলাকাবাসী; রুহিতারপাড় গ্রামের রাস্তা বেহাল, চলাচলে দুর্ভোগ

আপডেট সময় : ০৬:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২

মনিরুল ইসলাম মনির : মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার উত্তর ব্যাসদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরীর বাড়ি হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন যাবৎ। বেহাল অবস্থার কারণে চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কটি পাকাকরণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

Model Hospital

সরজমিনে দেখা যায়, ছেংগারচর পৌরসভার রুহিতারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাকা সড়ক মোড় থেকে আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী বাড়ি হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কটি খানাখন্দে ভরা। গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হাটাও মুশকিল।

উত্তরপাড়া পাকা সড়ক থেকে আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী বাড়ি পর্যন্ত গত ২০১১ সালে আরসিসি পাকা হলেও বর্তমানে তা ভেঙ্গে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সকাল বিকাল পথচারী, ছাত্র/ছাত্রী ও মুসল্লিদের যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। চৌধুরী বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার এখনো কাঁচা রয়ে গেছে। বর্ষাকাল আসলে ওই সড়ক দিয়ে পায়ে হাটা ও চলাচল একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। তারপর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যন্ত হেরিংবোন বন্ড করা আছে। তবে গত ১০ বছর ধরে সংস্কার না থাকায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি।

রুহিতারপাড় গ্রামবাসী ও ছাত্র/ছাত্রীরা বলেন, আমাদের এই গ্রামটি অনেক বড় গ্রাম, ভোটার বেশি। এই গ্রামে ৭ টি সমাজ রয়েছে, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ আরো অনেক গুরুত্বপর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু সকল প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজারে যাওয়ার এই একটি মাত্র সড়ক। প্রায় ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটি বিগত ১০ বছর ধরে কোন সংস্কার হচ্ছে না। বর্তমানে আমাদের চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে অনেক সমস্যা হয়। আমাদের এই ভোগান্তি লাঘব হতে দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবী জানাচ্ছি।

স্থানীয় এলাকার জহিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমাদের এই সড়কটির অর্ধেকাংশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ২০১১ সালে একবার আরসিসি পাকা হয়েছিল। তারপর থেকে আর সংস্কার হয়নি। বর্তমানে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। বর্তমান সরকার দেশে অনেক উন্নয়ন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি পাকাকরণ হলে আমরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবো। পাশাপাশি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।