ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতলবে উশৃংখল স্বামী স্ত্রী কর্তৃক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

মতলব উত্তর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সুগন্ধি গ্রামে এক উশৃংখল দম্পত্তির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। মানুষের একাধিক মোবাইল ফোন চুরি করে ধরা খাওয়ার পর উল্টা মোবাইলের মালিক ও পঞ্চায়েতদের বিরুদ্ধে মামলা করে মানুষকে হয়রানি করেন ওই গ্রামের আকলিমা ও তার স্বামী জাকির হোসেন।

Model Hospital

মানববন্ধন শেষে ওই উশৃংখল দম্পতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শত শত নারী পুরুষ। আক্তার মাস্টার, বিল্লাল হোসেন অজি, বিল্লাল হোসেন মোল্লা, নুরুল হক মিজি, সিরাজ মীর, হান্নান মীর, শফিক ও আরো কয়েকজন নারী সহ ক্ষিপ্ত মানববন্ধনকারীরা বলেন, আকলিমা ও তার স্বামী জাকির হোসেন এলাকার মানুষের মোবাইল ফোন চুরি করে। এমন ঘটনা অনেক হাতে নাতে ধরা খেয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় গ্রামে শালিশ বৈঠক ডাকা হলে পরে উপস্থিত মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সম্মুখে তারা হাজির হন না। হাজির না হয়ে উল্টা মোবাইল মালিক ও শালিশ বৈঠকের পঞ্চায়েতদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। এভাবে একাধিক মামলা করে গ্রামের মানুষকে অযথা হয়রানি করে আসছে তারা। নিজে অপরাধ করে আর উল্টা মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। শুধু তাই নয় মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হামলা মামলা ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।

এই ক্ষেত্রে তাদের কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ও জাকির ভাই বশির এবং তার চাচাতো ভাইয়েরা, দারোগা নজরুল ইসলাম পিছনের শক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে। উশৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্ত দুশ্চরিত্রবান আকলিমা প্রায়ই বলে যে, সে এসআই নজরুলকে কল দিলেই যে কাউকে ধরে নিয়ে যাবে। তাছাড়া সামাজিকভাবে মহিলাকে অপরাধ না করার জন্য বলা হলে সে তার সন্তানকে মেরে অথবা নিজের ঘরে আগুন দিয়ে এলাকাবাসীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে বলে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। তাই এই দম্পত্তির অপকর্ম ও অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসীর পক্ষে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা আইনি সহয়তার মধ্য দিয়ে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।

এলাকাবাসী আরো বলেন, গত বছরের মাঝামাঝি সময় মোরশেদের মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায় নি। পরে গত ১৪/০৯/২১ইং তারিখে মোরশেদ তার হারিয়ে যাওয়া মোবাইলে কল দিলে রিংটোন বাজতে থাকে। আকলিমার ঘরে রিংটোনের শব্দ পেয়ে এলাকার উপস্থিত ৭/৮ জন সামাজিক লোকজনকে নিয়ে আকলিমার ঘরে গেলে মোবাইলটি পাওয়া যায়।

পরোক্ষণে এলাকার মানুষকে আকলিমা গালমন্দ করে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এবং তার কয়েকদিন পরেই বিল্লাল, আশানুর, জয়নাল মোরশেদ, আবদুল্লাহ, মাজহারুল ও তানজিলার বিরুদ্ধে কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আকলিমা তাদেরকে হয়রানি করছে।

এই মামলা তদন্ত প্রতিবেদন দিতে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা হাজেরা বেগমকে নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। তার প্রেক্ষিতে তদন্তে এসে কর্মকর্তা মামলার সাক্ষী ও এলাকাবাসীর জবানবন্দি ও সকল তথ্য প্রমাণ অনুযায়ী বাদী আকলিমার সাজানো অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দৃশ্যমান হয়।

এর কিছুদিন পরেই মৃত চান মিয়ার ছেলে মোক্তারের মোবাইলটি চুরি হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি। এর কয়েকদিন পরে মোক্তারের চুরি যাওয়া মোবাইলটি আকলিমা কর্তৃক বিক্রি হকারের কাছে বিক্রি করার সময় মোক্তারের স্ত্রী আছমা বেগম দেখে ফেলেন। পরে আকলিমাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান এটা তার মোবাইল। ওই সময় গ্রামের আরো কয়েকজনের উপস্থিতিকে প্রমাণ হয় যে, এটা মোক্তারেরই মোবাইল। পরোক্ষণে হকারের কাছ থেকে আছমা বেগম এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে টাকা দিয়ে মোবাইলটি কিনে রাখেন। এ ঘটনার পর মোক্তার ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল আকলিমা ও তার স্বামী জাকির।

ঘটনাটি মিমাংশা করার জন্য এলাকার পঞ্চায়েত শালিশ বৈঠক ডাকে। কিন্তু ওই বৈঠকে আকলিমা গং হাজির হননি। বরং উল্টা মোক্তারকে ১নং বিবাদী করে আলমগীর, আছমা বেগম, ফাতেমা বেগম, ভুলু বেগম, স্বপ্না বেগম, মাজহারুল ও শাহানুর সহ পঞ্চায়েতদের বিরুদ্ধে ঘটনার তারিখ ১৩/০৩/২২ইং তারিখ দেখিয়ে কোর্টে আরেকটি মামলা দায়ের করে আকলিমা। অথচ ওই তারিখে সুগন্ধি গ্রামে কোন ঘটনাই ঘটেনি। এর কয়েকদিন পরেই মোক্তারের স্ত্রী আছমাকে জাকির, আকলিমা ও জাকিরের ছেলে মারধর করে।

আছমার হাতে কোপ দিয়ে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ওই ঘটনায় আছমা বাদী হয়ে আকলিমা গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় শালিশ বৈঠকে উভয় পক্ষ আপোষ মিমাংশা হন। ও উভয় পক্ষ নিজ খরচে মামলা তুলে আনবে বলে ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর সম্পাদন করেন। আপোষনামায় শর্ত মোতাবেক মোক্তার ও আছমা আদালত থেকে দুটি মামলা তুলে আনলেও আকলিমা কর্তৃক যে দুইটি মামলা আছে উঠায়নি। এবং কেন মামলা উঠাবেন না এলাকাবাসী তাকে জিজ্ঞেস করলে আকলিমা বলে মামলার আইও আমাকে মামলা তুলতে না করেছে। তারপর নজরুল দারোগার কাছে এলাকাবাসী গেলে তিনি শালিশ বৈঠকের আপোষনামা গ্রহন করেননি এবং থানায় বসেই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠিয়ে দিবে বলে জানিয়ে দেয়।

এরপর থেকে আকলিমা ও জাকির বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আকলিমা জাকির দম্পত্তির এই অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সুগন্ধি গ্রামবাসী। তাদের মোবাইল চুরি, মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানিসহ তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এলাকাবাসী এবং মতলব উত্তর থানায় আকলিমা, জাকির তাদের সহায়তাকারী জাকিরের ভাই বশির, মজনু, মোঃ শরীফ, হানিফ, শহীদ উল্লাহ ও আহসান উল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আকলিমা কর্তৃক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে থাপ্পর দেয়াসহ তাদের অপকর্মের কারণে সমাজের মানুষের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যেকোন সময় মারাত্মক দূঘর্টনা ঘটতে পারে ধারনা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার এএসআই নজরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় আমার কাছে একটি অভিযোগ ছিল। তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যা সত্য পেয়েছি তা ই তুলে ধরেছি। এদিকে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য আকলিমা ও জাকিরের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস :

চাঁদপুরে ছাত্রদের ওপর হামলাকারী নাজির এখন প্যানেল চেয়ারম্যান

মতলবে উশৃংখল স্বামী স্ত্রী কর্তৃক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৩:১৭:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২

মতলব উত্তর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সুগন্ধি গ্রামে এক উশৃংখল দম্পত্তির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। মানুষের একাধিক মোবাইল ফোন চুরি করে ধরা খাওয়ার পর উল্টা মোবাইলের মালিক ও পঞ্চায়েতদের বিরুদ্ধে মামলা করে মানুষকে হয়রানি করেন ওই গ্রামের আকলিমা ও তার স্বামী জাকির হোসেন।

Model Hospital

মানববন্ধন শেষে ওই উশৃংখল দম্পতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শত শত নারী পুরুষ। আক্তার মাস্টার, বিল্লাল হোসেন অজি, বিল্লাল হোসেন মোল্লা, নুরুল হক মিজি, সিরাজ মীর, হান্নান মীর, শফিক ও আরো কয়েকজন নারী সহ ক্ষিপ্ত মানববন্ধনকারীরা বলেন, আকলিমা ও তার স্বামী জাকির হোসেন এলাকার মানুষের মোবাইল ফোন চুরি করে। এমন ঘটনা অনেক হাতে নাতে ধরা খেয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় গ্রামে শালিশ বৈঠক ডাকা হলে পরে উপস্থিত মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সম্মুখে তারা হাজির হন না। হাজির না হয়ে উল্টা মোবাইল মালিক ও শালিশ বৈঠকের পঞ্চায়েতদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। এভাবে একাধিক মামলা করে গ্রামের মানুষকে অযথা হয়রানি করে আসছে তারা। নিজে অপরাধ করে আর উল্টা মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। শুধু তাই নয় মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হামলা মামলা ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।

এই ক্ষেত্রে তাদের কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ও জাকির ভাই বশির এবং তার চাচাতো ভাইয়েরা, দারোগা নজরুল ইসলাম পিছনের শক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে। উশৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্ত দুশ্চরিত্রবান আকলিমা প্রায়ই বলে যে, সে এসআই নজরুলকে কল দিলেই যে কাউকে ধরে নিয়ে যাবে। তাছাড়া সামাজিকভাবে মহিলাকে অপরাধ না করার জন্য বলা হলে সে তার সন্তানকে মেরে অথবা নিজের ঘরে আগুন দিয়ে এলাকাবাসীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে বলে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। তাই এই দম্পত্তির অপকর্ম ও অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসীর পক্ষে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা আইনি সহয়তার মধ্য দিয়ে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।

এলাকাবাসী আরো বলেন, গত বছরের মাঝামাঝি সময় মোরশেদের মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায় নি। পরে গত ১৪/০৯/২১ইং তারিখে মোরশেদ তার হারিয়ে যাওয়া মোবাইলে কল দিলে রিংটোন বাজতে থাকে। আকলিমার ঘরে রিংটোনের শব্দ পেয়ে এলাকার উপস্থিত ৭/৮ জন সামাজিক লোকজনকে নিয়ে আকলিমার ঘরে গেলে মোবাইলটি পাওয়া যায়।

পরোক্ষণে এলাকার মানুষকে আকলিমা গালমন্দ করে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এবং তার কয়েকদিন পরেই বিল্লাল, আশানুর, জয়নাল মোরশেদ, আবদুল্লাহ, মাজহারুল ও তানজিলার বিরুদ্ধে কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আকলিমা তাদেরকে হয়রানি করছে।

এই মামলা তদন্ত প্রতিবেদন দিতে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা হাজেরা বেগমকে নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। তার প্রেক্ষিতে তদন্তে এসে কর্মকর্তা মামলার সাক্ষী ও এলাকাবাসীর জবানবন্দি ও সকল তথ্য প্রমাণ অনুযায়ী বাদী আকলিমার সাজানো অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দৃশ্যমান হয়।

এর কিছুদিন পরেই মৃত চান মিয়ার ছেলে মোক্তারের মোবাইলটি চুরি হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি। এর কয়েকদিন পরে মোক্তারের চুরি যাওয়া মোবাইলটি আকলিমা কর্তৃক বিক্রি হকারের কাছে বিক্রি করার সময় মোক্তারের স্ত্রী আছমা বেগম দেখে ফেলেন। পরে আকলিমাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান এটা তার মোবাইল। ওই সময় গ্রামের আরো কয়েকজনের উপস্থিতিকে প্রমাণ হয় যে, এটা মোক্তারেরই মোবাইল। পরোক্ষণে হকারের কাছ থেকে আছমা বেগম এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে টাকা দিয়ে মোবাইলটি কিনে রাখেন। এ ঘটনার পর মোক্তার ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল আকলিমা ও তার স্বামী জাকির।

ঘটনাটি মিমাংশা করার জন্য এলাকার পঞ্চায়েত শালিশ বৈঠক ডাকে। কিন্তু ওই বৈঠকে আকলিমা গং হাজির হননি। বরং উল্টা মোক্তারকে ১নং বিবাদী করে আলমগীর, আছমা বেগম, ফাতেমা বেগম, ভুলু বেগম, স্বপ্না বেগম, মাজহারুল ও শাহানুর সহ পঞ্চায়েতদের বিরুদ্ধে ঘটনার তারিখ ১৩/০৩/২২ইং তারিখ দেখিয়ে কোর্টে আরেকটি মামলা দায়ের করে আকলিমা। অথচ ওই তারিখে সুগন্ধি গ্রামে কোন ঘটনাই ঘটেনি। এর কয়েকদিন পরেই মোক্তারের স্ত্রী আছমাকে জাকির, আকলিমা ও জাকিরের ছেলে মারধর করে।

আছমার হাতে কোপ দিয়ে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ওই ঘটনায় আছমা বাদী হয়ে আকলিমা গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় শালিশ বৈঠকে উভয় পক্ষ আপোষ মিমাংশা হন। ও উভয় পক্ষ নিজ খরচে মামলা তুলে আনবে বলে ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর সম্পাদন করেন। আপোষনামায় শর্ত মোতাবেক মোক্তার ও আছমা আদালত থেকে দুটি মামলা তুলে আনলেও আকলিমা কর্তৃক যে দুইটি মামলা আছে উঠায়নি। এবং কেন মামলা উঠাবেন না এলাকাবাসী তাকে জিজ্ঞেস করলে আকলিমা বলে মামলার আইও আমাকে মামলা তুলতে না করেছে। তারপর নজরুল দারোগার কাছে এলাকাবাসী গেলে তিনি শালিশ বৈঠকের আপোষনামা গ্রহন করেননি এবং থানায় বসেই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠিয়ে দিবে বলে জানিয়ে দেয়।

এরপর থেকে আকলিমা ও জাকির বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আকলিমা জাকির দম্পত্তির এই অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সুগন্ধি গ্রামবাসী। তাদের মোবাইল চুরি, মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানিসহ তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এলাকাবাসী এবং মতলব উত্তর থানায় আকলিমা, জাকির তাদের সহায়তাকারী জাকিরের ভাই বশির, মজনু, মোঃ শরীফ, হানিফ, শহীদ উল্লাহ ও আহসান উল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আকলিমা কর্তৃক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে থাপ্পর দেয়াসহ তাদের অপকর্মের কারণে সমাজের মানুষের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যেকোন সময় মারাত্মক দূঘর্টনা ঘটতে পারে ধারনা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার এএসআই নজরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় আমার কাছে একটি অভিযোগ ছিল। তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যা সত্য পেয়েছি তা ই তুলে ধরেছি। এদিকে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য আকলিমা ও জাকিরের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।