ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরলেন প্রবাসী ব্যবসায়ী ও পরিবার

এস এম ইকবাল : পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মালেয়শিয়ায় বাংলাদেশী প্রবাসী ব্যবসায়ী সুমন বেপারী মালেয়শিয়ান স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে হেলিকপ্টার নিয়ে বাড়ি এলেন।

Model Hospital

৮ জুলাই শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুমন দম্পতিকে বহনকারী হেলিকাপ্টারটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ এ আর মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করেন। এর আগে সকাল ৬টায় তারা মালেশিয়ার একটি ফ্লাইটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে তারা। সুমন বেপারীর বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামে।

জানা গেছে, চির্কা গ্রামের মজিবুল হক বেপারীর ছেলে সুমন ২০০৭ সালে মালেয়শিয়া যায়। ৯ বছর পুর্বে তার সাথে নুর ইনা লিজার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে প্রনয় ঘটে উভয়ের মধ্যে। বর্তমানে এই দম্পত্তির ঘরে সুফিয়া সাফরিনা (৮), আরাফাত (৪) এবং আড়াই বছরের আরমান নামে তিনটি সন্ত্মান রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আযহায় মা, বোনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে দেখা করতে এবং ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে স্বস্ত্রীক তিনি বাংলাদেশে আসেন। শুক্রবার সকালে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন। পরে একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার যোগে ফরিদগঞ্জে আসেন।

হেলিকপ্টার থেকে নামার পর সুমন বেপারীর মা ফাতেমা বেগম, বোন সালমা বেগম, হোসনেয়ারা বেগম ও নিকটাত্মীয় ফারুক পাটওয়ারীসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের ফুল দিয়ে বরণে করেন।

সুমন বেপারী জানান, ঈদের সময় সড়কগুলো ব্যস্ত্ম থাকে। তাই ঝামেলা এড়াতে তিনি স্ত্রী ও সন্তনদের নিয়ে হেলিকপ্টার যোগে বাড়ি এসেছেন।

মা ফাতেমা বেগম ছেলে ও পুত্রবধু ও নাতি নাতনিদের কাছে পেয়ে আবেগ আপস্নুত হয়ে পড়েন। এসময় তিনি বলেন, আমার ছেলে সুমন এক সময় কষ্ট করেছে সেই দেশে। বর্তমানে তারা সুখে রয়েছে।

বোন সালমা বেগম বলেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন। আমাদের আদরের ভাই স্ত্রী সন্তনসহ আমাদের সাথে ঈদ করতে বাড়ি এসেছে।

ট্যাগস :

চাঁদপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভা

ফরিদগঞ্জে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরলেন প্রবাসী ব্যবসায়ী ও পরিবার

আপডেট সময় : ১২:৩২:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২

এস এম ইকবাল : পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মালেয়শিয়ায় বাংলাদেশী প্রবাসী ব্যবসায়ী সুমন বেপারী মালেয়শিয়ান স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে হেলিকপ্টার নিয়ে বাড়ি এলেন।

Model Hospital

৮ জুলাই শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুমন দম্পতিকে বহনকারী হেলিকাপ্টারটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ এ আর মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করেন। এর আগে সকাল ৬টায় তারা মালেশিয়ার একটি ফ্লাইটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে তারা। সুমন বেপারীর বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামে।

জানা গেছে, চির্কা গ্রামের মজিবুল হক বেপারীর ছেলে সুমন ২০০৭ সালে মালেয়শিয়া যায়। ৯ বছর পুর্বে তার সাথে নুর ইনা লিজার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে প্রনয় ঘটে উভয়ের মধ্যে। বর্তমানে এই দম্পত্তির ঘরে সুফিয়া সাফরিনা (৮), আরাফাত (৪) এবং আড়াই বছরের আরমান নামে তিনটি সন্ত্মান রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আযহায় মা, বোনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে দেখা করতে এবং ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে স্বস্ত্রীক তিনি বাংলাদেশে আসেন। শুক্রবার সকালে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন। পরে একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার যোগে ফরিদগঞ্জে আসেন।

হেলিকপ্টার থেকে নামার পর সুমন বেপারীর মা ফাতেমা বেগম, বোন সালমা বেগম, হোসনেয়ারা বেগম ও নিকটাত্মীয় ফারুক পাটওয়ারীসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের ফুল দিয়ে বরণে করেন।

সুমন বেপারী জানান, ঈদের সময় সড়কগুলো ব্যস্ত্ম থাকে। তাই ঝামেলা এড়াতে তিনি স্ত্রী ও সন্তনদের নিয়ে হেলিকপ্টার যোগে বাড়ি এসেছেন।

মা ফাতেমা বেগম ছেলে ও পুত্রবধু ও নাতি নাতনিদের কাছে পেয়ে আবেগ আপস্নুত হয়ে পড়েন। এসময় তিনি বলেন, আমার ছেলে সুমন এক সময় কষ্ট করেছে সেই দেশে। বর্তমানে তারা সুখে রয়েছে।

বোন সালমা বেগম বলেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন। আমাদের আদরের ভাই স্ত্রী সন্তনসহ আমাদের সাথে ঈদ করতে বাড়ি এসেছে।