স্টাফ রিপোর্টার : কচুয়ায় পূর্ব শক্রতার জের ধরে ছালাম (২৩) নামের এক যুবকে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ছালাম কচুয়া পৌরসভাধীন বালিয়াতুলি গ্রামের মোঃ বিল্লাল হোসেনের পুত্র।
থানায় দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জুন বালিয়াতলি গ্রামের মিয়াজী বাড়ির ইসমাইল হোসেনের বিবাহ অনুষ্ঠানে একটি ছোট ছেলে ধূমপান করায় তাকে ওই বাড়ির ইলিয়াছ মিয়াজীর পুত্র সিয়াম ও মনির হোসেনের পুত্র ফরহাদ ওই ছেলেটিকে মারধর শুরু করলে ছালাম বাধা দিতে গেলে তাদের সাথে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। তর্কবিতকের্র এক পর্যায়ে সিয়াম ও ফরহাদ ছালামকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়।
এ বিরোধের জের ধরে সিয়ামের নেতৃত্বে ক’জন যুবক গত ১৬ জুন সন্ধ্যায় ছালামকে সু-কৌশলে বালিয়াতলি সামগাজী ব্রিজের উপর ডেকে নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র সশ্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ছালামকে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে ছালামকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ অবস্থায় ছালামের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ঘটনার স্থল ছুটে এসে ছালামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করায়। এখানে তার অবস্থা অবনতি দেখে ডাক্তারা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
এঘটনায় ছালামের ভাই শাহপরান বাদী হয়ে গত ২৩ জুন তিনজনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৫। এই মামলায় আজও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
১নং ওয়ার্ড কাউন্সিল আব্দুল কাদের বলেন, বিবাহের অনুষ্ঠানে ছোট একটি ছেলের ধূমপান ও ডেক্সসেট বাজানোকে কেন্দ্র করে সিয়াম,মনির ও ছালামের মধ্যে বাধাঁনুবাধ হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে ছালাম মারাক্তক মারধরের শিকার হওয়ার খবর শুনে তাকে আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। উভয়পক্ষকে বলেছি সামনের দিকে বাড়াবাড়ি না করে এলাকায় বসে বিরোধের মিমাংসা করে ফেলার জন্য। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে কোনপক্ষই আমার নিকট আসেনি। শুনেছি উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ছালামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। এখন বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে শাহপরানের দায়ের করা মামলায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, আসামীরা কোর্ট থেকে আগাম জামিন গ্রহন করেছে। তবে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
শাহপরানের মামলার প্রধান আসামী সিয়াম জানান, ১৬ জুন ছালামকে ডেকে সামগাজী ব্রিজের উপর এনে মারধর করার অভিযোগ সত্য নয়। ছালাম আমাদেরকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার মুহুর্তে ওই ব্রিজে হোচট খেয়ে পড়ে ব্রিজের কাননিসের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাথায় আঘাত পায়।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এলাকায় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি জানান, ইলিয়াস ও শাহপারান গংদের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া বিরোধের জের ধরে এলাকার পরিবেশ বিষিয়ে উঠছে। এই বিরোধের সুষ্ঠু সমাধান না হলে দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।