মনিরুল ইসলাম মনির : সারাদেশর ন্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলাও গত কয়েকদিন ধরে চরম লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। এর ফলে দৈনন্দিন জীবন যাপন, ব্যবসা বানিজ্য পরিচালন, বাজার শপিং কমপ্লেক্স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি বেসরকারি অফিসগুলোতে দেখা দিয়েছে অসহনীয় বিপর্যয়।
প্রখর তাপমাত্রা ও ভ্যাপসায় গরমে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পরেছে। একটু স্বস্তি পেতে মানুষ সোলার ও গাছের নিচে একটু নিরিবিলি জায়গা খুঁজছে। এদিকে উপজেলার হাট বাজারগুলোতে দেখা দিয়েছে সোলার ফ্যান ও চার্জার ফ্যানের সংকট। আবার কেউ কেউ নতুন ফ্যান না পেয়ে ঘরে থাকা পুরনো বিকল নিয়ে বাজারে সচল করতে আনছে।
বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, হটাৎ করেই সোলার ও চার্জার ফ্যান সংকট। ইলেক্ট্রনিক্স দোকানগুলোতে ফ্যান নতুন ফ্যান নেই। স্টকের চেয়ে চাহিদা বেশি হওয়ায় দুইদিনের মধ্যেই সব ফুরিয়ে গেছে। এই সুযোগে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে।
ছেঙ্গারচর বাজারে ফ্যান কিনতে আসা সুফিয়ান নামে এক ব্যক্তি বলেন, দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। তাই সোলার ফ্যান কিনতে আসছি বাজারে। সোলার ফ্যান না চার্জার ফ্যান খুজছি, তাও পাইনি।
মনিরা আক্তার নামে আরেকজন বলেন, বাসার জন্য চার্জার ফ্যান কিনতে চেয়েছি। কিন্তু কোন দোকানে ফ্যান নেই। এখন অর্ডার করেছি, দোকানদার বলছে দু’এক দিনের মধ্যে এনে দিবে।
ছেঙ্গারচর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকদিনের লোডশেডিংয়ের কারণে সোলার ও চার্জার ফ্যান সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের স্টকে যা ছিল গত দুই দিনে সব বিক্রি হয়ে গেছে। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত ফ্যান আসবে বাজারে।
লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে মতলব উত্তর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মো. শামসুদ্দিন বলেন, চলমান সময়ে লোডশেডিং জাতীয় সমস্যা। জাতীয় গ্রীডে যতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকে ততক্ষণ লাইন চালু থাকে। এ ব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি।