ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে দুই স্বামীর সংসার ছেড়ে ভাগিনার বাড়ী গিয়ে মামীর অনশন

নিজস্ব প্রতিনিধি : ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্ধি গ্রামের বেপারী বাড়ির আনোয়ার হোসেন মানিকের ঘরের সামনে স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে অনশন করছে তার মামী। সে ৯ নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের চরমথুরা গ্রামের দেওয়ান বাড়ির মেয়ে সীমা আক্তার।

Model Hospital

অনশনকালে সীমা আক্তার বলেন, আনোয়ার হোসেন মানিকের আপন মামা বিল্লাল হোসেনের সাথে ২০০৯ সালে তার বিয়ে হয়। তারপর মানিক বিভিন্ন ভাবে তার ছবি তুলে হয়রানি করে। একপযায়ে মানিকের তার সাথে সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এই সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তাদের ৭ বছরের সংসার ভেঙ্গে যায়।

তিনি আরো জানান, মানিক বিয়ে করার কথা থাকলেও সে বিদেশি গিয়ে চারবছরেও ফিরে আসেনি। তারপর তার ফ্যামিলির চাপের কারণে দ্বিতীয় বিয়ে হয় রামপুর গ্রামের ঢাকায় বাসিন্দা এনামুল হকের সাথে। সেখানেও বিভিন্ন কায়দায় আনোয়ার হোসেন মানিক দ্বিতীয় স্বামীর কাছে যোগাযোগ করেন। সেই অযুহাতে দ্বিতীয় সংসারও ভেঙ্গে যায়। তারপরে মানিক বিদেশ থাকা অবস্হায় মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। কিন্তু এখন সে স্বামীর অধিকার দিচ্ছে না। বহু অপেক্ষা করেও অধিকার না পাওয়ায় স্ত্রীর অধিকার দাবিতে অনশন করেন সীমা।

জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন এই বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।

১০ নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, বিষয়টি জেনেছি।

ফরিদগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল জানান, সীমা আক্তার ৯৯৯ কল করেছে। তাদের একটা মামলাও চলমান রয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভুঁইয়াকে সমাধানের লক্ষে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের: মাওলানা মামুনুল হক

ফরিদগঞ্জে দুই স্বামীর সংসার ছেড়ে ভাগিনার বাড়ী গিয়ে মামীর অনশন

আপডেট সময় : ০২:০৮:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধি : ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্ধি গ্রামের বেপারী বাড়ির আনোয়ার হোসেন মানিকের ঘরের সামনে স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে অনশন করছে তার মামী। সে ৯ নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের চরমথুরা গ্রামের দেওয়ান বাড়ির মেয়ে সীমা আক্তার।

Model Hospital

অনশনকালে সীমা আক্তার বলেন, আনোয়ার হোসেন মানিকের আপন মামা বিল্লাল হোসেনের সাথে ২০০৯ সালে তার বিয়ে হয়। তারপর মানিক বিভিন্ন ভাবে তার ছবি তুলে হয়রানি করে। একপযায়ে মানিকের তার সাথে সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এই সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তাদের ৭ বছরের সংসার ভেঙ্গে যায়।

তিনি আরো জানান, মানিক বিয়ে করার কথা থাকলেও সে বিদেশি গিয়ে চারবছরেও ফিরে আসেনি। তারপর তার ফ্যামিলির চাপের কারণে দ্বিতীয় বিয়ে হয় রামপুর গ্রামের ঢাকায় বাসিন্দা এনামুল হকের সাথে। সেখানেও বিভিন্ন কায়দায় আনোয়ার হোসেন মানিক দ্বিতীয় স্বামীর কাছে যোগাযোগ করেন। সেই অযুহাতে দ্বিতীয় সংসারও ভেঙ্গে যায়। তারপরে মানিক বিদেশ থাকা অবস্হায় মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। কিন্তু এখন সে স্বামীর অধিকার দিচ্ছে না। বহু অপেক্ষা করেও অধিকার না পাওয়ায় স্ত্রীর অধিকার দাবিতে অনশন করেন সীমা।

জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন এই বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।

১০ নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, বিষয়টি জেনেছি।

ফরিদগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল জানান, সীমা আক্তার ৯৯৯ কল করেছে। তাদের একটা মামলাও চলমান রয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভুঁইয়াকে সমাধানের লক্ষে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।