নিজস্ব প্রতিনিধি : দীর্ঘ বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী মিলে গ্রাম পুলিশের চাকরি করছেন। দ্বিতীয় বিয়ে করে কয়েকদিন সংসার করলেও পরে প্রথম স্ত্রীর চাপে পড়ে তালাক দিতে বাধ্য হন স্বামী। এবার দ্বিতীয় বিয়ে করে আলোচনায় সেই প্রথম স্ত্রী। গ্রাম পুলিশের চাকরি করা সেই স্ত্রীর এখন দুই স্বামী।
ঘটনাটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮ নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাটিলা গ্রামে। গত কয়েকদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ ঝর্ণা বেগমের দুই স্বামী নিয়ে চলছে তোলপাড়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেলো গ্রাম পুলিশ ঝর্ণা বেগম দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে আলীগঞ্জের বাসা ভাড়া উঠেন। মর্জিনা বেগমের প্রথম স্বামী মনির হোসেন স্ত্রীকে ফিরে পেতে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ঝরনা বেগমের তিন ছেলে সন্তান ও তার স্বামীর দ্বিতীয় ঘরের এক কন্যা সন্তানসহ ছয় জনের সংসার এখন ছিন্ন-ভিন্ন।
গ্রাম পুলিশ মনির হোসেন বলেন, সুখের আশায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি। এখন শেষ বয়সে আমার স্ত্রীকে কেড়ে নিয়ে গেছে কামাল হোসেন। কামাল হোসেনের শাস্তির দাবী জানাই। এখন স্ত্রীকে ফেরত চান এই মনির হোসেন।
কামাল হোসেন বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মনির হোসেন অনেক গালাগালি করেছে। তাই বিয়ে করেছি। নতুন বাড়ি করে নতুন বউকে আলাদা রাখতে চান এই কামাল হোসেন।
এদিকে কামাল হোসেনের প্রথম স্ত্রী মোমেনা আক্তার বলেন ৪২ বছর স্বামী সংসার করছি। স্বামীর বয়স ৬৩ বছর। সেই স্বামীকে কেড়ে নিয়ে গেছে ঝরনা। এখন স্বামীকে ফেরত চান তিনি।
এ বিষয়ে কথা হয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদারের সাথে। তিনি ঝরনা বেগম ও মনির হোসেন হাটিলা পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ঝরণা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করায় এখন পুরো ইউনিয়ন পরিষদ বিভ্রত।