সজীব খান : শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেছেন, পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক, শোককে শক্তিতে পরিনত করার প্রতীক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছেন আমাদের স্বাধীনতা। আর তার সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৪১ বছর ধরে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, তার সংগ্রামের মাধ্যমেই বাংলাদেশ আজ মধ্যে আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (২৫ জুন) চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কারনেই বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তর হয়েছে। আজকে যে মাওয়ায় পদ্ম সেতুর উদ্বোধন হচ্ছেন, তা আমরা সবাই ঘরে বসে দেখছি, এসব ডিজিটাল বাংলাদেশের কারনেই সম্ভাব হয়েছে।
পদ্মাসেতুর আজ উদ্বোধন হয়েছে, উন্নয়নের একটা বড়দাফ বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে। বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন, তার সুযোগ্য কণ্যার নের্তৃত্বে বাংলাদেশ আজ সে দিকে হাটছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ বাঙালীর ভালবাসার সৃজনশীলতাই তার প্রমান।
তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর নামে অনেকবার পদ্মাসেতু করার প্রস্তাব গিয়েছে, যতবার গিয়েছে, ততবারই তিনি প্রত্যাক্ষণ করেছে। আজকের এই স্বপ্নের সেতু শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রতীক। আজকে শুধু পদ্মা সেতু নয়, দেশের সকল উন্নয়নেই প্রধানমন্ত্রীর নের্তৃত্বে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য শান্তিচুক্তিসহ সকল কিছুই শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে। আজ বিশে^র কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাওয়ার সকল প্রেরণা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই দেখিয়েছে। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, উন্নয়নের বাংলাদেশ।
তিনি বলেন সামনে জাতীয় নির্বাচন, এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হলে নৌকার বিজয়ের বিকল্প নেই। নৌকার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় আজকে পদ্মা সেতু হয়েছে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে সকল অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে হবে, যারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করেনা, দেশের উন্নয়নকে বিশ্বাস করেনা, তাদেরকে কঠিন ভাবে প্রতিহত করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, আগামী দিনেও আমি আপনাদের সেবা করতে চাই, সেবক হতে চাই, পাশে থাকতে চাই, চাঁদপুরের উন্নয়নের জন্য আমি সব সময় মানুষের কল্যাণে থাকবো। বাংলাদেশ যত উন্নয়ন হয়েছে, আওয়ামী লীগের আমলেই হয়েছে। অপ্রমত্ত পদ্মায় মানুষের আজ আত্মমর্যদা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি দিন চ্যালেঞ্জের মাখেই যাচে। বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে হত্যার পর কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রী নের্তৃত্ব দিয়েছে। দেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করেছে, কারাবরণ করেছেন, শোককে শক্তিতে পরিনত করার নামই হচ্ছে শেখ হাসিনা।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে সাংবাাদিক এম আর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিয় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ মশিউর রহমান, বিশেষ অতিথি হিবেসে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ পিপিএম বার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর পৌর মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, নারী মুক্তিযুদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সমাজ সেবক, মুক্তিযুদ্ধা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, ছাত্রছাত্রীসহ সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।