স্টাফ রিপোর্টার : হাইকোর্টে রীটপিটিশন স্থিতাবস্থা থাকা সত্ত্বেও চাঁদপুরে সংখ্যালঘুর ঘর উচ্ছেদের অভিযোগ তুলেছেন এক ভুক্তভোগী। তিনি এর সুষ্ঠু সমাধান পেতে সাবেক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের কাছে ডজনখানেক বার তার গণশুনানীতে অংশ নিয়ে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে দিয়েছেন।
ঘটনাটি চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের লোদেরগাঁও গ্রামের মহামায়া বাজার সংলগ্ন দত্ত বাড়ির অমৃত লাল দত্তের(৮৮) সাথে ঘটেছে বলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
জানা যায়, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সরকারি লিজের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৬ জন লীজগ্রহীতাকে সম্পত্তি বুজিয়ে দেন চাঁদপুর সদরের এসিল্যান্ড মোঃ হেলাল উদ্দীন। আর এই উচ্ছেদের সময়ই স্থানীয় অমৃত লাল দত্তের ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ জায়গার বাড়ীঘরও উচ্ছেদ করা হয়েছে মর্মে সাবেক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের নিকট ডজনখানেক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
২১ জুন মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে অমৃত লাল দত্তের টিনের ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র গচ্ছিত রাখতে দেখা যায়।
এ সময় বিভিন্ন কাগজ পত্র দেখিয়ে অমৃত লাল দত্ত গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ১৯০ নং আর এস খতিয়ানে এক একর ১৫ শতক ভূমির অন্দরে ৬৮৯ নং দাগে ৮ শতাংশ ৩৮ পয়েন্ট ভূমির উপর একটি পুরাতন ঘর বিদ্যমান ছিল। পরে বিগত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট পিটিশন ( ৮১৫৮/২১) করা হয় এবং সরকারের উপর স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়। এরপরও ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে কোন নোটিশ ছাড়াই আমার বাসস্থানসহ মালামাল উচ্ছেদ করা হয়। এতে আমার প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মালামালের ক্ষতি হয়।
অমৃত লাল দত্ত গণমাধ্যমকর্মীদের আরও বলেন, এটি মানহানীকর ঘটনা উল্লেখ করে আমি এর সুষ্ঠু সমাধান পেতে নিয়মিতভাবে সাবেক জেলা প্রশাসকে অঞ্জনা খান মজলিশের সাথে যোগাযোগ করি। এমনকি তার গণশুনানিতে ডজন খানেক বার অংশও নিয়েছিলাম। পরে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে একপর্যায়ে তিনি বদলি হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে। তাই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান পেতে আমি বর্তমান জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সাংসদসহ সর্বপোরি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।