ঢাকা ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে আসবাবপত্র চুরি করে বিক্রির ঘটনায় তদন্ত টিম গঠন

নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চেয়ার টেবিল সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র গোপনে চুরি করে বিক্রি করার ঘটনায় অবশেষে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত হাসপাতালে স্টোর কিপার মারজানকে বাঁচাতে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Model Hospital

টেন্ডার ছাড়া হাসপাতালে সরকারি মাল এভাবে চুরি করে বিক্রি করার ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালে চেয়ার টেবিল স্টোর কিপার মারজান ৩৫ হাজার টাকার বিনিময়ে পুরান বাজার রয়েজ রোড বাবা রাইস মিলস সংলগ্ন পুরাতন লোহার ব্যবসায়ী মিন্টু কাছে বিক্রি করেন।

ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে হাসপাতালে স্টোর কিপার মারজান সেই পুরাতন লোহার ব্যবসায়ী মিন্টুর কাছে গিয়ে চুরি করে বিক্রি ঘটনাটি যাতে কারো কাছে স্বীকার না করে সেজন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করেন।

এদিকে হাসপাতালে তদন্ত টিম গঠন করার পর থেকে কোন বাজারের সেই ব্যবসায়ী মিন্টু তার দোকান বন্ধ করে ঘা ঢাকা দেয়।
ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে ও হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবৎ চুরি করে মালামাল বিক্রি করার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে ধরা সম্ভব হবে।

অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে অপ্রয়োজনীয় মালামাল গেল কিছুদিন পূর্বে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হয়।
সে সময় হাসপাতালে চেয়ার টেবিল টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি না করে সেগুলো হাসপাতালে পুরাতন ভবনের পিছনে উপরে উঠার সিঁড়ির খালি জায়গায় দুই বছর যাবত রাখা ছিলো।

হাসপাতালে মালামাল টেন্ডারে মাধ্যমে বিক্রি করার কিছুদিন পর হাসপাতালে স্টোর কিপার মারজান ও জাকিরের যোগসাজশে সিঁড়ির গোড়ায় পড়ে থাকা চেয়ার টেবিল গোপনে পুরাণবাজারে মিন্টু নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।

এই বিষয়ে জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতালে সেই অসাধু কর্মকর্তা স্টোর কিপার মারজান ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায়। তবে সাংবাদিকরা ঘটনাটি জেনে হাসপাতাল থেকে বিক্রি হওয়া মালামালের সন্ধান পায় ও তথ্যপ্রমাণ বক্তব্যসহ ভিডিও ধারণ করে রাখে।

এ ঘটনায় হাসপাতালে দায়িত্বরত স্টোর কিপার মারজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান ও এই ধরনের মালামাল বিক্রি করেনি বলে জানান।

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক একেএম মাহবুবুর রহমান জানান, হাসপাতাল থেকে চুরি করে মাল অন্যত্রে বিক্রি করার বিষয়টি জানার পর সুষ্ঠু তদন্ত করার লক্ষ্যে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
যদি প্রমাণিত হয় তাহলে যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মতলব উত্তরে কাপ-পিরিচ প্রতীকে উঠান বৈঠক ও ব্যাপক গণসংযোগ

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে আসবাবপত্র চুরি করে বিক্রির ঘটনায় তদন্ত টিম গঠন

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চেয়ার টেবিল সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র গোপনে চুরি করে বিক্রি করার ঘটনায় অবশেষে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত হাসপাতালে স্টোর কিপার মারজানকে বাঁচাতে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

Model Hospital

টেন্ডার ছাড়া হাসপাতালে সরকারি মাল এভাবে চুরি করে বিক্রি করার ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালে চেয়ার টেবিল স্টোর কিপার মারজান ৩৫ হাজার টাকার বিনিময়ে পুরান বাজার রয়েজ রোড বাবা রাইস মিলস সংলগ্ন পুরাতন লোহার ব্যবসায়ী মিন্টু কাছে বিক্রি করেন।

ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে হাসপাতালে স্টোর কিপার মারজান সেই পুরাতন লোহার ব্যবসায়ী মিন্টুর কাছে গিয়ে চুরি করে বিক্রি ঘটনাটি যাতে কারো কাছে স্বীকার না করে সেজন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করেন।

এদিকে হাসপাতালে তদন্ত টিম গঠন করার পর থেকে কোন বাজারের সেই ব্যবসায়ী মিন্টু তার দোকান বন্ধ করে ঘা ঢাকা দেয়।
ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে ও হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবৎ চুরি করে মালামাল বিক্রি করার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে ধরা সম্ভব হবে।

অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে অপ্রয়োজনীয় মালামাল গেল কিছুদিন পূর্বে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হয়।
সে সময় হাসপাতালে চেয়ার টেবিল টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি না করে সেগুলো হাসপাতালে পুরাতন ভবনের পিছনে উপরে উঠার সিঁড়ির খালি জায়গায় দুই বছর যাবত রাখা ছিলো।

হাসপাতালে মালামাল টেন্ডারে মাধ্যমে বিক্রি করার কিছুদিন পর হাসপাতালে স্টোর কিপার মারজান ও জাকিরের যোগসাজশে সিঁড়ির গোড়ায় পড়ে থাকা চেয়ার টেবিল গোপনে পুরাণবাজারে মিন্টু নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।

এই বিষয়ে জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতালে সেই অসাধু কর্মকর্তা স্টোর কিপার মারজান ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায়। তবে সাংবাদিকরা ঘটনাটি জেনে হাসপাতাল থেকে বিক্রি হওয়া মালামালের সন্ধান পায় ও তথ্যপ্রমাণ বক্তব্যসহ ভিডিও ধারণ করে রাখে।

এ ঘটনায় হাসপাতালে দায়িত্বরত স্টোর কিপার মারজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান ও এই ধরনের মালামাল বিক্রি করেনি বলে জানান।

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক একেএম মাহবুবুর রহমান জানান, হাসপাতাল থেকে চুরি করে মাল অন্যত্রে বিক্রি করার বিষয়টি জানার পর সুষ্ঠু তদন্ত করার লক্ষ্যে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
যদি প্রমাণিত হয় তাহলে যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।